,

প্রতারক প্রেমিকের খপ্পরে পড়ে নবীগঞ্জের রুবি এখন দিশেহারা

সংবাদদাতা ॥ ২০ বছরের মাথায় কয়েকটি হোঁচট খেয়ে রুবি এখন দিশেহারা হয়ে সমাজ পতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। কিন্তু পিছনের শক্ররা তাকে বেপরোয়া হয়ে ধাওয়া করছে। এখন সে নিজেকে অসহায় বলে দাবি করছে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকের নিকট । জানা গেছে নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের বৈঠাখাল গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের আব্দুল মন্নান এর কন্যা রুবি বেগম তার জীবন শুরুর প্রথম দিকে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই পিতা-মাতা তাকে জোর করে বিয়ে দেন ২০০৪ সালের ১৭ই জুন শেরপুর এলাকার আবারক খানের পুত্র মোঃ জমির খানের নিকট। কিছু দিন পর তাদের বিয়ের বিচ্ছেদ ঘটে। এর পর সে জীবিকা নির্বাহের জন্য আউশকান্দি জেÑআইসি গার্মেন্টেস চাকুরি নেয়। সখানে আসা যাওয়ার পথে তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো একই উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ঝিটকিয়া ফুটারচর গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম মিয়ার পুত্র সিএনজি চালক মোঃ কামাল মিয়া। সে প্রায়ই বিরক্ত ও উত্ত্যক্ত করতো রুবিকে। এরই মধ্যে দুই তিন মাসের মাথায় তাদের মধ্যে মন দেয়া নেয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে প্রেমিক কামাল রুবিকে প্রলোভনে ফেলে বিয়ের শর্তে তার সাথে স্বামীÑস্ত্রী হিসেবে জীবন যাপন শুরু করে। দিন যতই ঘনিয়ে যায় ততই তাদের প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে ভাটা দেখা দেয়। এরই মধ্যে রুবির পিতাÑমাতা বিষয়টি জানতে পারেন। রুবি প্রেমিক কামালকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে তার সাথে প্রেমের সম্পর্কের কথা সম্পুর্ণ অস্বীকার করে। তখন সমাজ পতিদের দ্বারস্থ হয় রুবি। কোন সমাধান না পেয়ে সে হবিগঞ্জ নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্্রুনালে ৪৩৪/২০১৬ইং মামলা দায়ের করে এবং বিচারক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে জেলা গোয়েন্দা শাখা হবিগঞ্জে আদেশ প্রদান করেন। দীর্ঘদিন যাচাই বাচাই শেষে স্বাক্ষী প্রমান সহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুদ্বীপ রায় সত্যতা পেয়ে মামলার প্রতিবেদন কোর্টে প্রেরণ করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন মেডিকেল রিপোর্টে ওই রুবির বয়স এখনো বিশ হয়নি। অপরদিকে সু-চতুর কামাল জামিন এসে আবারো রুবির পিছন ধরে তাকে অহরহ হুমকিসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতে শুরু করে। এতে রুবি আবারো সমাজ পতিদের দ্বারে দ্বারে বিচার চেয়ে বেড়াচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর