,

‘ক্ষমতা’র আসনে চমক থাকতে পারে আ.লীগ-বিএনপির

সময় ডেস্ক ॥ পুণ্যভূমি সিলেটের এই ‘ক্ষমতার আসন’-এ জ্যেষ্ঠ ও ওজনদার প্রার্থীকেই মনোনয়ন দিয়ে থাকে সব দল। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বিশেষ মর্যাদা পেয়ে আসছে সিলেট-১ আসন। এখানে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হন সে দলই সরকার গঠন করে, স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত এর ব্যতিক্রম হয়নি। তাই পুণ্যভূমি সিলেটের এই ‘ক্ষমতার আসন’-এ জ্যেষ্ঠ ও ওজনদার প্রার্থীকেই মনোনয়ন দিয়ে থাকে সব দল। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনেও যে এর ব্যতিক্রম হবে না, এরই মধ্যে তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিশেষ কোনো চমকও থাকতে পারে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে। এখন পর্যন্ত এই দুই দলে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে, তারা অনেকে প্রথাগত রাজনীতিক নন। তাদের মধ্যে যেমন আছেন কূটনীতিক, তেমনি আছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দার নাম। আর জাতীয় পার্টি থেকে স্বয়ং চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রার্থী হতে পারেন এই মর্যাদার আসনে। আগামী নির্বাচনের এখনো প্রায় দেড় বছর বাকি। তবে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন নির্বাচনী তৎপরতা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নিয়মিত যোগ দিচ্ছেন সামাজিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। তাদের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন অনুসারীরা। সাম্প্রতিক সময়ে এরশাদও ঘুরে গেছেন সিলেট। সদর ও সিটি করপোরেশনের একাংশ নিয়ে গঠিত সিলেট-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে ভবিষ্যতে আর নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন ৮৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিক। তার ভাই জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেও তিনি জানিয়ে দেন গত বছরের ওই ঘোষণায়। এরপর থেকে ড. মোমেন পুরোদমে দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তবে মোমেনকে ফাঁকা মাঠ দিচ্ছেন না আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। ছাত্ররাজনীতির ধাপ বেয়ে উঠে আসা এ নেতা চলতি বছরে বিভিন্ন জনসভায় সিলেট-১ আসনে নির্বাচন করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিনও এ আসনে আওয়ামীল লীগের প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন তিনি। নবম নির্বাচনে মুহিত ১ লাখ ৭২ হাজার ৮১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর সাইফুর রহমান পান ১ লাখ ৩৫ হাজার ২১৩ ভোট। এবার এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন-প্রত্যাশী হিসেবে নাম শোনা গিয়েছিল বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। তবে শমসের মবিন চৌধুরী রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ায় বর্তমানে বিএনপির সাবেক এমপি খন্দকার আবদুল মালিকের ছেলে খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরই আছেন মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে। বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন আছে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে নিয়ে। আগামী নির্বাচনে এ আসনে প্রার্থী হওয়ার মধ্য দিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে নামতে পারেন তিনি। এ ছাড়া সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ইনাম আহমদ চৌধুরীও। এই আসনে এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির (জাপা) সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় কোনো নেতা নাম আসেনি। জানা যাচ্ছে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ আসনে প্রার্থী হতে পারেন।


     এই বিভাগের আরো খবর