,

প্লাষ্টিকের সামগ্রীতে বাজার সয়লাব হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ শিল্প

শাহ সুলতান আহমেদ ॥ নবীগঞ্জ উপজেলায় দিন দিন বিলিন হতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ শিল্প। এক সময় এ পেশায় গ্রাম এলাকার অনেকে জড়িত থেকে একমাত্র পেশা হিসেবে বেচে নিয়েছিলেন। কিন্তু দিন বদলের হাওয়ায় এখন ঐ পেশা ছেড়ে এখন তারা মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। গ্রামীন জনপদে এক সময় বাঁশ ঝাড় ছিলনা তাহা কল্পনা করা হতোনা। যেখানে গ্রাম আছে সেখানেই ছিল বাঁশ ঝাড়ের সমাহার। কিন্তু ইদানিং দেখা গেছে কালের বিবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশ। একারণে বিলিনের পথে হাতে বানানো বাশ শিল্পের তৈরি জিনিস সমুহ। বর্তমানে বাঁশ শিল্পের পরিবর্তে ঐ স্থান দখল করেছে বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্লাষ্টিকের তৈরি সামগ্রী। আজ থেকে প্রায় ২/৩ যুগ পুর্বে নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় কয়েক শত পরিবার বাঁশ শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট ছিল। তারা বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন সাইজের হাত পাখা, কুলা, ঝাড়–, কচি, ছাটাই, ছোট বড় ডালি, কলই, চাল ওজনের পৌড়া ও অন্যান্য জিনিস তৈরি করতেন। কিন্তু বর্তমানে বাজারে আধুনিকতার ছোয়ার হাওয়ায় পুর্বের সব বদল হয়ে প্লাষ্টিকের মালামাল সহজলভ্য হওয়ায় সেদিকে কেহ মন নেই। এবং ঝুকছে না বাঁশ দিয়ে তৈরি জিনিসের প্রতি। এ পেশায় জড়িত উপজেলার রঘু দাউদ পুর গ্রামের তালেব মিয়া জানান কয়েক বছর আগে বাঁশের তৈরি জিনিস বিক্রি করে পরিবারের খরচ ও সংসার চালিয়েছিলা। কিন্তু এখন বাজারে প্লাষ্টিকের জিনিস পত্র আসায় আগের মতো আর বাঁশের তৈরি জিনিসের প্রতি কদর নেই লোকজনদের। এ জন্য তিনি এ পেশা প্রায় ছেড়ে দিচ্ছেন। দিনারপুর এলাকার প্রবীন মুরব্বি উস্তার মিয়া জানান- বাবারে কি বলবু আমার পরিবার আমি বাঁশের তৈরি জিনিস বিক্রি করে চালিয়েছিলাম, এবং ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া করিেেয় বড় করে বিয়ে সাদি দিয়েছি এক ছেলেকে বিলেতে দিয়েছিলাম। এক সময় হাতের তৈরি বাঁশের জিনিসের দারে কাছে আসতোনা লক্করঝক্কর প্লাষ্টিকের মালামাল। সমাজের সচেতন মহল মনে করেন দেশের বাঁশ শিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পুর্বের চিহ্নিত ও পরিচিত লোকদের সরকাররের পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা করলে আবারো বাঁশ শিল্পের কদর সমাজে আসবে। এবং ফিরিয়ে আসবে অতীত জীবনের পেশা বাশ শিল্প।


     এই বিভাগের আরো খবর