,

“জীবন জয়ে’র গৌরবে, নতুন দিনের সৌরভে ৬৮ বছরের আওয়ামী লীগ”

‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ এক নামে-এক শ্লোগানে বঙ্গবন্ধু তথা আওয়ামী লীগের ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে ফসল বাংলাদেশের অর্জিত স্বাধীনতা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে’ই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ। একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্ভরে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ। আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সংগ্রাম আন্দোলন ও মানুষের আঙ্কাংকা পূরণের মাধ্যমে এই রাজনৈতিক দল এখন দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম প্রচীনতম রাজনৈতিক দল। জন্মলগ্নে এই দলটির নাম ছিলো ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ মুসলিম লীগ’ পরে এর নাম করণ করা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’। ১৯৭১ সালের পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর অসম-অন্যায্য চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের বিপরীতে, এই দলটি একাত্তর সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করলে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামে দলটি পূর্ণগঠিত হয়। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সম্মনত রেখে, র্দীঘ পথ চলা এই দলটি মানুষকে পথ দেখিয়েছে মুক্তির। যে মুক্তি স্বাধীনতার যে মুক্তি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি। মুক্তির এই আঙ্কাংকা মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৪ সালের পর থেকেই শেখ মুজিবের নেতৃত্বে, জমিদার খান বাহাদুরদের গন্ডি ছাড়িয়ে, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসাবে জনগণের-গণ মানুষের দলে পরিনত হতে থাকে। প্রতিক্রিয়াশীলদের ছোবল থেকে প্রগ্রতিবাদতে পরিনত হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টায় জনগণের প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ ‘জনগণের লীগে’ পর্রিনত হয়। এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ধাপে-ধাপে স্বাধীনতান মর্ন্ত্রে র্দীক্ষিত হতে থাকে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ। আওয়ামী লীগ জনগণতে উজ্জীবিত করেছে। বাংলার মানুষ যে স্বাধীন হবে, এই আতœবিশ^াস নিয়ে বঙ্গবন্ধু তার ৬ দফা ঘোষনা করেছিলেন ১৯৬৬ সালে। ৬ দফা ছিলো, সেই মুক্তির সনদ, সংগ্রামের পথ বেয়ে যা এক দফায় পর্রিনত হয়েছিলো। সে এক দফা বাংলার স্বাধীনতা। এর জন্য আওয়ামী লীগ’কে ২৩ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতৃবৃন্দ নানা নির্যাতনের মধ্যে থেকেও জনগণের কাছে বঙ্গবঙ্গুর মুক্তির সনদ ৬ দফা পৌছে দিয়েছেন। “আওয়ামী লীগের যে দিন জন্ম হয় সেই দিন থেকেই স্বায়ত্তশাসনের বিষয় নিয়ে সংগ্রাম করেছে। ৬ দফা দাবী যখন তার দেশের দেশের মানুষের কাছে পেশ করেছে, তখই প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে যে, তাদের দুঃখ-কষ্ট ভোগ করতে হবে। এটা ক্ষমতা দখলের সংগ্রাম নয় জনগনকে শোসনের হাত থেকে বাচাঁবার সংগ্রাম” …………………….. কারাগারের রোজনামচা শেখ মুজিবুর রহমান। ৬ দফার প্রশ্নে আপোষহীন আওয়ামী লীগ নেতা বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীনতার ডাক দিলেন, বাংলার ৭ কোটি জনগন ঝাঁপিয়ে পরলো মুক্তিযুদ্ধে। যে মুক্তিযুদ্ধ ছিলো অসম। বাঙ্গালির বিরত্ব, বিশে^ নজির বিহীন। আওয়ামী লীগ জনগণকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করতে পেরেছিল বলে, নিজের জীবন পরিবার-পরিজন রেখে শুধু স্বাধীনতার প্রশ্নে ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিলো অকাতরে। আর ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভমের বিনিময়ে আমরা পেলাম মহান স্বাধীনতা। কিন্তু এই স্বাধীনতা’কে মহিম্মানিত করতে আওয়ামী লীগ’ই বাঙালি জাতিকে আতœমর্যাদাশীল হিসেবে গড়েতুলতে কাজ শুরু করেছিলো। স্বাধীনতার প্রশ্নে আপোষহীন নেতা শেখ মুজিব ফাঁসির মঞ্চকে বেঁচে নিলেও পাকিস্তান সরকার ও জুলফিকার আলী ভূট্ট বঙ্গবন্ধু’কে মুক্ত করতে বাধ্য হয়। র্দীঘ ১০ মাস কারাবাস শেষে, জীবন-মুত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা শেখ মুজিব সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তুলবার স্বপ্ন নিয়ে- ৮ই জানুয়ারী ১৯৭২ স্বদেশ প্রত্যাবর্তণের পূর্বেই যুক্তরাজ্যের ১০নং ডাউনিয় স্টিটে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে, পৃথিবীর সকল দেশের কাছে দাবী জানান, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের এবং জাতিরসংঘে অর্ন্তভূক্তিকরনে। বাংলার অভিসংবাদিত নেতা-মুজিব সেদিনই বুঝতে পেরেছিলেন, অসামান্য আতœত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশকে আইনগতভাবে ঠিকিয়ে রাখতে অপরাপর দেশ এবং জাতিসংঘের স্বীকৃতি প্রয়োজন এবং তা যত দ্রুত সম্ভব। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে, বাংলাদেশকে শুধু স্বাধীনতার গৌরবে, সম্মানিত করেনি- আওয়ামী লীগ। আতœমর্যাদাশীল জাতি গঠনে-নিরন্তন কর্মযজ্ঞ চালিয়েছে আসছে, আওয়ামী লীগ। অর্থনৈতিক নানা পরিসংখ্যানে বিশ^ মোড়লদের মুখে যখন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ আদৌ ঠিকে থাকবে কি না এমন প্রশ্ন। তার সাথে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি পরগাছাদের স্বদেশের মাটিতে বসে, অন্ধকার নীল নকশার ষড়যন্ত্রে মধ্য থেকেও বঙ্গবন্ধু জীবন বাজী রেখে স্বপ্নে বীজ রোপন করেছিলেন যার নাম “সোনার বাংলা” একদিকে চরম দারিদ্র পূর্ন ধ্বংস প্রাপ্ত যুদ্ধ-বিধস্ত বাংলাদেশ তার সাথে ১৯৬৮ সালের বন্যা ১৯৬৭ সাল এবং ১৯৭০ সালের ঘূনিঝড় ২ লক্ষ প্রাণ হানি, কৃষিতে অপূরণীয় ক্ষতি, ভারত থেকে ফেরা ১ কোটি স্বরনার্থী, পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দলাল’দের হাতে ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ সম্ম্রনহারা নারী’র পূর্নবাসন। একদিকে প্রশাসন সুষমকরণ, মুক্তিযোদ্ধা- নির্যাতিতা নারী, স্বরণার্থী, ধ্বংসপ্রাপ্তদের পুর্নবাসর আইনশৃংখলার পরিস্থিতির উন্নয়ন তথা অবকাঠামোর উন্নয়ন, মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ সদ্ধস্বাধীন বাংলাদেশে পুরা মাটিতে দাঁিড়য়ে বিশাল স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুদায়িত্ব পালন করেছিল। এতো প্রতিকুল পরিবেশে পৃথিবীর কোন রাজনৈতিক দল জনগণের জন্য, জনগণের তরে নিবেদিত হয়ে, একটি জাতিকে নির্মানপূর্বের ইতিহাস গড়তে পারেনাই। যা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মাত্র সাড়ে ৩ বছরে করতে পেরেছিলো। মাত্র ৯ মাসে, পবিত্র সংবিধান প্রনয়ণ হয়েছিল আওয়ামী লীগের মাধ্যমে, বাংলাদেশের মানুষের একটি বড় অর্জন। সংবিধানের প্রথম পর্বে সংবিধানের প্রাধান্য বলা হয়েছে ‘প্রজাতন্ত্রেও সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। সংবিধানের মৌলিক অধিকারের জাতি র্ধম-নিবিশেষে আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিকের সমতা নিশ্চিত করার বিশ্ব নিয়ে আওয়ামী লীগ একটি অসম্পাদায়িক বাংলাদেশ গড়বার প্রয়াস শুরু করে। কিন্তু র্ধম নিয়ে রাজনীতি, সাম্পদায়িকতা, ও জঙ্গীবাদের উত্তান ঘঠাতে, জিয়াউর রহমান বঙ্গবঙ্গু’কে স-পরিবারে হত্যা করার নীল নকশা করে। যে, নীল নকশা হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২ শে মার্চ অপারেশন সার্চলাইট নামে ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করার পূর্ব পরিকল্পনা। অথাৎ আওয়ামী লীগ যখনি বাংলার মানুষের বিশাল স্বপ্ন পূরণে সাফল্যে দারগোড়ায় এসেছে। তখন’ই এসেছে অন্ধকার হায়ানার কালো তাবা। বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতার ইতিহাসকে স্লান করতে যে, দৃষ্ট চক্রের সহযোগিতায় ২ শে মার্চ গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল। সেই একী ক্ষমা লোভী দেশ বিরোধী চক্র স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে স-পরিবারে হত্যা করেছিল মুক্তিযুদ্ধের সুতিঘাত ধানমন্ডির ৩২ বাড়ীতে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের ভোর রাতে। পচাত্তরের ১৫ই আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ’কে নিচ্ছিন্ন করতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২নং বাড়ীটি জব্ধ করা থেকে শুরু করে, আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ নেতা-কমী উপর নেমে আসে চরম নির্যাতন। মুজিবনগর সরকারের স্তম্ভ হিসাবে যে, জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, এম মুনসুর আলী ও কামরুজ্জামান। তাদের’কে বিনা করণে গ্রেফতার করে অবশেসে কারাগারে নৃৎশংসভাবে হত্যা করে জিয়াউর রহমানের অবৈধ সরকার। অথচ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই চার জন মহৎ নেতা সমগ্রপূর্ব বঙ্গে আওয়ামী লীগে’র আহবানে অসযোগ আন্দোলন সহ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের রেসর্কোস ময়দানের ঐতিহাসিক নীতি নির্ধারণী বক্তব্যের বাস্তবায়নে কাজ করেছে। কিন্তু সেই মানুষগুলোকে হত্যা করার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের আর্র্দশিক নেতা-কর্মীকে হত্যা, গুম, গ্রেফতারের নির্যাতন চলে র্দীঘ ২১ বছর। ১৯৮১ সালের ১৭ই মে বঙ্গবন্ধুর কন্যার স্বদেশ প্রর্ত্যাবতন ছিলো, বঙ্গবন্ধু ৭২ সালের স্বদেশ প্রর্ত্যাবতনেরই মতো দেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ন। বিশেষ করে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, সংবিধান স্থগিত-করে মার্শাল ‘ল’ জারি ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশে’র মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে পূর্নবাসন করার বিরুদ্ধে কোঠারঘাত। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে স্ব-স্বীকৃত খুনি কর্নেল রশিদ সহ খুনিরা যথন রাষ্ট্রিয় পৃষ্টপুষকতায় পুরস্কৃত হয়ে যখন দেশ-বিদেশে ভাল অবস্থানে চাকরী করেন, তখন আওয়ামী লীগের নেতাদের গ্রেফতার করে অন্ধকার কারাগারে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগের আর্দশের অনুসারি যাতে উঠে আসবে না পারে, নিষিদ্ধ হয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে’র নাম আর একাত্তরের রণধ্বনী ‘জয় বাংলা’। জিয়াউর রহমানের শাসন আমলে সাম্পদায়িকতায় বিশবাষ্প এতটাই তুঙ্গে উঠেছিল যে, কবিগুরু রবীন্দনাথের লেখা “ আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি ” জাতীয় সংগীত অপ্রচলিত সংগতি পরিণত হয়েছিল। এভাবেই একেটি প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস থেকে বিচিত্র হয়ে জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্বাবধায়নে অস্ত্র আর অর্থের রাজনীতিতে জীবন তরীতে ডুবতে বসলো। জিয়াউর রহমান বিশ্বাস করতেন, অস্ত্রে, জুড়ে সব কিছু পাল্টে দেওয়া যায়। তার রাজনৈতির মিশন ছিলো ত্যাগী-নিঃস্বার্থ দেশ প্রেমী আর্দশবান রাজনীতিবিদের জন্য রাজনীতিকে অত্যন্ত কষ্টকর করে তুলা। যে কারণে যারা ভোগবাদী, যারা ক্ষমতালোভী, যারা দেশ বিরোধী যুদ্ধপরাধী তাদের কে নিয়ে গড়ে উঠলো, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। যাদের মূল্য লক্ষ হচ্ছে, দেশের উন্নয়ন কে ব্যহত করা। আওয়ামী লীগ’কে নিয়ে বাংলাদেশের স্বপ্নের স্বাক্ষরিত হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর সরকার গঠন করলে, বঙ্গবন্ধুর অজন্ম স্বপ্ন আতœমর্যাদাশীল সোনার বাংলা বিনির্মানে কাজ শুরু করেন। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রেও বিশ্বাসী বলেই বিএনপির সংবিধান স্থগিতের মাধ্যমে মার্শাল ‘ল এর বিপরীদে গণতন্ত্রের পূণরুদ্ধার জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেন। সংসদীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে আবারোও জনগনের মৌলিক অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের ‘জবাবদিহীতা’ ও ‘দায়বদ্ধতা’ নিশ্চিত হয়। বঙ্গবন্ধু ৬৬’র ৬ দফার মুক্তির সনদের মধ্যদিয়ে ১ দফা অথাৎ স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। যা পকিস্তান সরকারের ভীতনরবরে করেদিয়েছিল। এ ছিলো এক ঐতিহাসিক ক্ষণ। আবারোও ডাক এসেছিলোা ১৯৯৬ সালে, যা ছিলো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক মুক্তির ডাক। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বীজ রোপন করেছিলো ক্ষুধা-দারিদ্র মুক্ত আতœমর্যাদাশীল বাংলাদেশের। শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে। সেই প্রতিযোগিতা হবে জন কল্যানকর কর্মসূচীর, আন্দোলন সংগ্রাম হবে, সমাজ সংষ্কারে অর্থনীতি উন্নয়নে। উন্নয়নে র্নিজাস পাবে সমাজের বৃহত্তর জনগোষ্ঠি। অনগ্রসর মানুষকে সামনে নিয়ে আসার আশংকা নিয়ে প্রনয়ন হয়েছিল পবিত্র সংবিধান। মানুষ অন্ন পাবে, বস্ত্র পাবে, শিক্ষার সুযোগ নিয়ে আতœ মর্যাদাশীল বাংলাদেশ হবে এটাই ছিলো বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ভিশন। এই স্বপ্নপূরণে কমিউনিটি ক্লিনিক, আশ্রায়ন প্রকল্প, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় দুস্ত মানুষের সহায়তার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার আবারো জনমনে আস্থা ফিরিয়ে এনেছিলেন রাষ্ট্র জনগণের সেবা প্রাণকে›ন্দ্র। এতো সবকিছুর পর বিশ্ব রাজনীতির নীল নকশার বিএনপি’র সরকার গঠন ৯৬এর আওয়ামী লীগ সরকারের সমস্ত অর্জকে নষ্ট করতে জনকল্যানকর ক্ষাতগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। ৫ বারের দুনীতিতে চ্যাম্পিয়ান বিএনপি সরকার হাওয়া ভবন কেন্দ্রিক রাজনৈতিক উত্থানে বাংলাধেকে পরিচিত করেছিলো জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসের স্বর্গ রাজ্যে। এতিমের উন্নয়নে কথা বলে টাকা সংগ্রহ করে, আতœসাৎ করা বিএনপি মাগুরার উপ-নিবার্চন, ১৯৯৬ এর ১৫ই ফেব্র“য়ারী’র নিবাচর্নের মধ্যদিয়ে ভোট কারচুপির রের্কড করেছিলো। বিএনপির শাসান আমলে আওয়ামী লীগ’কে নিশ্চিন্ন করতে ২০১৪ সালের ২১ শে আগস্ট সহ ১৯ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা’কে। ১০ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র এনে ‘বাংলা ভাইয়ে’র মতে ভয়ংকর সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রায়নে মদদ দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। ১/১১’তে আওয়ামী লীগ’কে মামলা দিয়ে দেশ ত্যাগের ভয় দেখিয়ে জন বিচ্ছিন্ন করতে ছেয়েছিল অবৈধ শক্তি। ১১ মাস অন্যায়ভাবে বিশেষ কারাগারে বন্দিরেখে হত্যার চেষ্টা হয়েছে নিরবে “কিন্তু রাখে আল্লাহ্, মারে কে” বাংলার ইতিহাসের কাংক্ষিত অধ্যায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার’ বাংলার মাটিতে হবে এটাই ছিলো, বঙ্গবন্ধু কন্যার ঐতিহাসিক দায়িত্ব। সেখান থেকে আবার বাংলাদেশকে মূলধারায় নিয়ে আসবার দায়িত্ব পালন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ৯৬ সালের বঙ্গবন্ধু খুনিদের বিচার, ২০১০ সালে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে যুদ্ধপরাদীদের বিচার জনগণের পূর্ণ সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার ‘আইনের শাসন’ প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও ‘আইনের শাসনে’র সবোচ্চ ব্যত্যয় ঘটেছে, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনার জীবণে। রাষ্ট্র স্থপতি’র সন্তানদের প্রতি আইনের বানী যেন নিরবে কেদেঁছে। কিন্তু তারা থেমে যান নাই। তাদের নিরন্তর কর্মপ্রচেষ্ঠায় এখন বাংলার মানুষ নতুন স্বপ্নে জেগে উঠে। আওয়ামী লী’গ তথা বঙ্গবন্ধুর ২৩ বছরের আন্দোলনের সংগ্রামে ফসল স্বাধীন বাংলাদেশ আজ বিশ্ব ফোরামে দারিদ্র বিমোচন, অর্থনৈতিক মুক্তির রোল মডেল। ২০০৯ সাল থেকে জনগণের সমর্থনে দুই মেয়াদে থাকা আওয়ামী লীগ সরকার ভিশনারী-মিশনারী নেতৃত্বের কৃতিত্ব দেখাতে পেরেছেন জাতীয় ও বিশ্ব অঙ্গনে। আওয়ামী লী’গের আন্দোলনের ফসল ৫২’র রাষ্ট্রভাষা, আওয়ামী লীগ সরকারের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বাঙ্গালির চিরায়তয় ঐতিহ্যের প্রতীক ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ২০১৬ সালে আওয়ামী লী’গ সরকারের নেতৃত্বে ইউনেসকো স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্ব মন্দার মধ্যেও ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরেরাখা আওয়ামী লীগ সরকার এখন ৭, ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ মাত্র নিয়ে কাজ করছে। জঙ্গী সন্ত্রাসের মদদদ দাতা বিএনপি কানাডা ফেডারেল কোর্টের রায়ে যখন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে স্বীকৃত। ঠিক একী সময়ে জাতিসংঘের বিশ্ব ফোরামে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা শুধু জঙ্গিবাদকে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষনা করেন’নি বরং ২০১৬ এর ১লা জুলাই ‘হ’লি আর্টিজন’ যা আজ বৈশ্বিক সমস্যা সেই জঙ্গিবাদ নিমূলে সফল এক রাষ্ট্র নায়ক হিসাবে বিশ্বে প্রসংশিত হয়েছেন। চরম দারিদ্রতা, মাতৃ ও শিশু মৃত্যৃ, স্কুলে ঝড়ে পরার হৃাস সহ নারীর ক্ষমতায়ন, ও ডিজিটাল বাংলাদেশ রুপান্তরে-বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগ সরকার আজ বিশ্ব ফোরামে নজিরবিহীন সাফল্যের এক উজ্জল উদাহারণ। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় সহ আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার ভুয়শী প্রশংসায় আলোচনা হয়। (তথ্য সমকাল ১৪ই মে, ২০১৭্ইং) নোবেল বিজয়ী বিজয়ী অর্থনীতিবিদদের আলোচনায়, বিশ্বকে চমকে দেওয়ার সাফল্যে কথা বলে আওয়ামী লীগ শাসন আমলের-বাংলাদেশ। জাতি বর্ণ র্ধম নিবিশেষে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, দুর্যোগ প্রশমণে কৌশল ও পদক্ষেপে প্রশংশনীয় বাংলাদেশ; দেশ বা বিদেশে যেখানে বিপন্ন মানুষ, সেখানেই বন্ধুত্বের হাত বাড়ায়। ‘২০৩০ সালের মধ্যে শীর্ষ অথনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ’। (তথ্য সমকাল ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ইং)। মুক্তিযুদ্ধে অসহযোগীতাকারী যুক্তরাষ্ট্রের ‘তলাবিহীন ঝুড়ির’ মতবাদের পরির্বতে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলাদেশ’। এভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে চলেছে। আওয়ামী লীগের রয়েছে, অর্জনের ইতিহাস। বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ বাংলার মানুষের স্বপ্নের স্বারতী। ৬৮ বছরে’র রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগের ইতিহাস এমনটা’ই বলে…………..জয় বাংলা—————-জয় বঙ্গবন্ধু লেখক :-
কেয়া চৌধুরী-সমাজকর্মী ও সংসদ সদস্য
শপযড়ফিযঁৎু৭১@মসধরষ.পড়স


     এই বিভাগের আরো খবর