,

ঈদকে সামনে রেখে হবিগঞ্জে ব্যবসায়ীদের মাঝে জাল নোট আতঙ্ক

জুয়েল চৌধুরী ॥ ঈদকে সামনে রেখে হবিগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার হাটবাজারে ব্যবসায়ীদের মাঝে জাল টাকার নোটের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে অন্যবারের চেয়ে এবার জাল টাকার আতঙ্ক বিরাজ করছে সবচেয়ে বেশি। যার কারণে ক্রেতা বিক্রেতাসহ ব্যাংক গ্রাহকরা ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট দেখলেই সন্দেহ প্রকাশ করেন। প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীদের হাতে আসা জাল টাকার নোট পাওয়া মাত্র ঝুট-ঝামেলা এড়াতে তারা আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন। আর পুলিশের ঝামেলা এড়াতে অনেকেই নীরব ভূমিকা পালন করছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে নানামুখী হয়রানি ও বিড়ম্বনাকে পুঁজি করে হুন্ডি ব্যবসায়ীদের তৎপরতা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। সূত্র জানায়, জাল টাকার ছড়াছড়ি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। জাল টাকার কারবারিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে বলেও সমালোচকদের অভিমত। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জাল নোট চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন হাটবাজার, ব্যাংক-বীমা, অফিস ও ব্যবসায়ীদের কাছে জাল টাকা ছড়িয়ে দিচ্ছে। চক্রটি শতভাগ লাভবান হয়ে সহজ-সরল মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। যার ফলে শায়েস্তাগঞ্জ থানার বিভিন্ন স্থানে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে জাল টাকা। পৌর শহরের দোকানপাট ও হাটবাজারগুলোতে ক্রেতারা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট দিলে বিক্রেতারা টাকা আসল না নকল তা শনাক্ত করতে পড়েন বিপাকে। অনেকেই আবার আসল ও নকল নোট চিনার জন্য ব্যাংকগুলোর সহায়তা নিচ্ছেন। খুচরা বিক্রেতা থেকে শুরু করে পাইকারি বিক্রেতাদের হাতে আসছে জাল টাকা। আইনি জটিলতা এড়াতে জাল টাকা হাতে পাওয়া মাত্রই ব্যবসায়ীরা তা বিনষ্ট করে ফেলেন। জাল টাকার নোটগুলো এতটাই সূক্ষ্ম যে প্রাথমিকভাবে আসল-নকল ধরা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। এদিকে জাল টাকার কারণে যেমন বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে তেমনি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের মাঝে একটি আতঙ্ক বিরাজ করছে। আর সুযোগ সন্ধানী জাল টাকার কারবারিরা সুকৌশলে বাজারে জাল টাকা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান ১০০, ৫০০ ও ১০০০ হাজার টাকার জাল নোট বেশি দেখা যাচ্ছে। জাল নোটগুলো নিত্যনতুন উন্নত প্রযুক্তিতে এতটাই সূক্ষ্মভাবে তৈরি যে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের চিনতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এমনকি নতুন ১০ টাকার নোটের ওপর ছাপ দিয়ে ৫০ টাকার জাল নোট তৈরি করা হচ্ছে। জাল টাকার জলছাপা ও নিরাপত্তা সুতাও দেখা যায়। তাতে করে আসল-নকল চিনতে ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা বিপাকে পড়ছেন। এমনকি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের জাল টাকা চিনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর