,

বাহুবলে মোটর সাইকেল আরোহী নিহত ॥ মহাসড়ক অবরোধ

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে মোটরসাইকেলের সাথে পুলিশের পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মোজাম্মেল হক (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন বিক্ষব্ধ হয়ে প্রায় ঘন্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। গতকাল সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার বশীনা নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোজাম্মেল হক সিলেট জেলার শাহপরাণ এলাকার বলে জানা যায়। সে মাধবপুর, চুনারুঘাট, বাহুবল ও শ্রীমঙ্গল এলাকায় ব্যাটারীর সেলসম্যারের হিসেবে কর্মরত ছিল। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল) এস এম রাজু আহমেদ পিকআপভ্যান যোগে নবীগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে একটি কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে মহাসড়কের উপজেলার বশীনা নামকস্থানে পৌঁছলে একই দিক থেকে যাওয়া চলন্ত একটি মোটরসাইকেলের সাথে এএসপি বহনকারী পিকআপভ্যান এর সাথে ধাক্কা লাগে। এতে মোজাম্মেল হক নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে এএসপি রাজু আহমেদ নিজেই উদ্ধার করে পিকআপভ্যানে করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে পুলিশ সিএনজি অটোরিক্সা ধরতে গিয়ে গাড়ীচাপা দিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীকে হত্যা করে লাশ গায়েব করেছে বলে প্রচার হলে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় লাশ ঘটনাস্থলে না আসলে অবরোধ চলবে বলে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ জনতা। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জসিম উদ্দিন, সিনিয়র এএসপি রাসেলুর রহমানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে আসেন। পরে এসপি জয়দেব কুমার হ্যান্ড মাইকে উত্তেজিত জনতাকে ঘটনাটির বিবরণ জানালে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় পুলিশের থেকে লাশ ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হবে বলে আশ্বাস দিলে সকাল ১১টার দিকে অবরোধ তোলে নেয়া হয়। এ বিষয়ে এসপি জয়দেব কুমার ভদ্র জানান, এটা একটি দূর্ঘটনা। মোটরসাইকেল বা সিএনজি অটোরিক্সাকে পাকড়ানোর ঘটনা এখানে ঘটেনি। এএসপি রাজু আহমেদ সরকারী কাজে যাওয়ার পথে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।


     এই বিভাগের আরো খবর