,

নবীগঞ্জে মুসলিম ছেলে ও হিন্দু মেয়ের প্রেমের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় ! ইজ্জতের মূল্য ৪০ হাজার টাকা

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষন করে বিয়ের প্রলোভনে বাড়িতে এনে অবশেষে তাড়িয়ে দিয়েছে এক মুসলিম পরিবারের যুবক। স্থানীয় শালিস বৈঠকের বিচারকগন যুবতীর ইজ্জতের মুল্য নির্ধারন করেছেন ৪০ হাজার টাকা। এলাকাবাসী ও স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ, নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দৌলতপুর (নোয়াগাঁও) গ্রামের হরি নমঃ সরকারের কিশোরী (১৬) ও একই গ্রামের মুসলিম পরিবারের ময়না মিয়ার পুত্র মোঃ রাসেল মিয়া (২১) এর মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবত মন দেয়া-নেয়া চলে আসছিল। গত বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে ওই যুবতী বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করে। বিষয়টি বিভিন্ন মহলে প্রচার হলে মুসলমান সমাজের লোকজন ছেলের পক্ষ নিয়ে এ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। পরে ওই দিন দিবাগত রাত ৯টায় দৌলতপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী মোঃ রোশন আলী পাঠানের বাড়িতে এক রুদ্ধদার বৈঠক হয়। এতে স্থানীয় ইউপি সদস্য খছরুজ্জামান খছরু, মোঃ আঙ্গুর মিয়াসহ ছেলে ও মেয়ে পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এসময় শালিস বৈঠকের বিচারকগন উভয় পক্ষের পারিবারিক অবস্থান ধর্মীয় বিষয়টি বিবেচনা করে ওই কিশোরীর উজ্জতের মুল্যে ৪০ হাজার টাকা দেয়ার রায় প্রদান করা হয়। এবং ওই রাতেই মেয়ে পক্ষের লোকজনের হাতে ৫ পাঁচ হাজার টাকা সমজিয়ে দেয়া হয়। সুত্রে আরো জানাযায়, পরবর্তীতে এলাকার একটি মহল ওই কিশোরী পরিবারের লোকদের চাপ সৃষ্টি করে এ ব্যাপারে কাউকে কিছু বললে ক্ষতি হবে বলে হুশিয়ারি প্রদান করে দেয়া হয়। প্রায় এক সপ্তাহ অতিবাহিত হবার পর মেয়ের উজ্জতের মূল্যের পুরো টাকা না পেয়ে হতাশায় রয়েছে কিশোরীর পরিবার। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য খছরুজ্জামান খছরু বলেন, কিশোরী পরিবারের কন্যা ও মুসলিম পরিবারের ছেলের ঘটনা নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়েছে এবং ওই সালিশে ৪০ হাজার টাকা রায় করা হয়েছে ও ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে, রায় অনুযায়ী ৩৫ হাজার টাকা বাকী রয়েছে এবং ওই বাকী টাকা কিশোরীর বিয়ের সময় দেয়ার রায় প্রদান করেন। সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এলাকার লন্ডন প্রবাসী রোশন আলী পাঠান। তিনি বলেন, ঘটনা ঠিক, আমার বাংলা ঘরে বসে তারা কি করেছে আমার জানা নেই। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ এওলা মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নে এত বড় ঘটনা হলো, কেউ আমাকে জানায়নি। এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আতাউর রহমান বলেন, কেউ কিছু জানায়নি এবং থানায় কোন অভিযোগ ও দেয়নি।


     এই বিভাগের আরো খবর