,

বাংলাদেশীদের জন্য আরব আমিরাতের ভিসা সহজ হচ্ছে

সময় ডেস্ক ॥ সংযুক্ত আরব আমিরাতে কমর্রত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা পদ্ধতি সহজ করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য একটি চুক্তি সইয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। সইয়ের অপেক্ষায় আছে আরো একটি চুক্তি। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে প্রণীত ‘এগ্রিমেন্ট অন সিকিউরিটি কো-অপারেশন বিটুইন দ্য গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক চুক্তি সইয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি সেখানে কমর্রত আছেন। কিন্তু, অতি সম্প্রতি তারা ভিসা পদ্ধতি কঠোর করার কারণে এই মুহূর্তে নতুন লোক সেখানে যেতে পারছেন না। চুক্তিটি সই হলে অপরাধ দমনের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সন্ত্রাস, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, মানবপাচার, আর্থিক অপরাধ দমন বা  প্রতিরোধের ব্যাপারে সহযোগিতা বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন। তার সফরকালে এই চুক্তি সই হবে বলে আশা করা যায়। তিনি বলেন, আশা করছি, এই সমস্যার নিরসন হবে। ভবিষ্যতেও সেখানে লোক যাবে। প্রধানমন্ত্রীর সফর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রস্তাব অনুযায়ী ‘এগ্রিমেন্ট অন ট্রান্সফার অব সেন্টেসড পার্সন’ শীর্ষক অপর একটি চুক্তি সইয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি দল সেখানে রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, এই চুক্তি হলো, দুই দেশের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের বিনিময় চুক্তি। এই চুক্তিও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই চুক্তি দুটি সই হলে যে কারণে ভিসা কঠিন হয়েছে, সেই সমস্যা নিরসনে সহায়ক হবে বলে আশা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। বাংলাদেশ-কুয়েতের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা : বাংলাদেশ ও কুয়েত সরকারের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সামরিক সহযোগিতা বিষয়ক একটি চুক্তি সইয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় মন্ত্রিসভায়। কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তারাই এই চুক্তি সইয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এই চুক্তি সই হলে মিলিটারি ট্রেনিং অ্যান্ড এডুকেশন, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স, লজিস্টিকস, এক্সচেঞ্জ অব মিলিটারি অবজারভার্স এক্সারসাইজেস, টেকনোলজিক্যাল সাইন্টিফিক ডেভেলেপমেন্ট ইন মিলিটারি সায়েন্স, ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি, প্রযুক্তি হস্তান্তর বিষয়ে সহযোগিতা পাওয়া যাবে। অ্যান্টি-স্মাগলিং ও অ্যান্টি-নারকটিকস মেজারস চুক্তির নতুন ডাইমেন্টশন উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ওই দেশেও তাই। এছাড়া চুক্তির আওতায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বিষয় আছে- মিলিটারি হিস্ট্রি, আর্কাভইস, মিউজিয়াম ইত্যাদি। আইসিটি বিষয়েও সহেযোগিতা বাড়বে।


     এই বিভাগের আরো খবর