,

নবীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ এর অনিয়ম চরমে ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের আন্দোলনের হুমকি

ছনি চৌধুরী ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এর বিরুদ্ধে চরম অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কর্মকর্তাদের মিটারের রিডিং লেখায় খামখেয়ালিপনার কারণে বিপাকে পড়েছেন একটি গ্রামের কয়েকশত গ্রাহক। উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোন সময় আন্দোলনের ডাক দেয়ার হুশিয়ারী দিয়েছেন ক্ষোদ্ধ পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট গ্রামে গত কয়েক মাসে যেসব পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রত্যেক মাসে ৪০ থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারের বিল এসেছে সেই সব গ্রাহকদের জুন মাসের বিল গত কয়েক মাসের বিলের সাথে কোনো মিল নেই। কয়েকগুণ বেশি বিল এসেছে। অর্থাৎ যেসব গ্রাহকদের বিগত কয়েক মাসে ৫০ থেকে ৭০ ইউনিটের বিল এসেছে সেখানে গত জুন মাসের বিল এর কাগজে দেখা গেছে ২০০ থেকে ২৫০ ইউনিট ব্যবহারের বিল লিখা রয়েছে। এনিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদরঘাট নতুন বাজারে পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা জানান, বাড়ি বাড়ি হেটে রিডিং লিখে নেয়া বিদ্যুৎ কর্মকর্তা সাজ্জাত মিয়া জুলাই মাসে কারো বাড়িতে না গিয়ে অজ্ঞাত স্থানে বসে অনুমান করে প্রত্যেকটি মিটারের রিডিং লিখে নিয়েছেন। এনিয়ে প্রচন্ড সমালোচনা চলেছে এ ঘটনার পর সাজ্জাদ মিয়াকে সাময়িক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। গত শনিবার জুলাই মাসের বিলের কাগজ প্রত্যেকটি বাড়িতে পৌঁছে দেন এক বিদ্যুৎ কর্মচারী। পল্লী বিদ্যুৎ এর বিলের কাগজ হাতে নিয়ে গত কয়েক মাসের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ব্যবধান দেখে হতবাগ হয়ে যান অনেক গ্রাহক। বিলের কাগজ দিতে আসা পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীকে স্থানীয় লোকজন ঘিরে রাখার চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়। পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারীদের খামখেয়ালিপনার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন সদরঘাট গ্রামের কয়েকশত গ্রাহক। সদরঘাট গ্রামের শুকুর আলী নামে এক গ্রাহকের সাথে এ প্রতিনিধির কথা হলে তিনি বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেখিয়ে বলেন, গত জুন মাসে আমার বিল এসেছে ২৫ ইউনিট ব্যবহারের কারণে ১৫০ টাকা কিন্তু জুলাই মাসে বিদ্যুৎ বিল এর কাগজ হাতে নিয়ে দেখি ৩২০ ইউনিট ব্যবহার বিল আসছে ১৭০৭ টাকা। আমিসহ এলাকার অধিকাংশ লোকজন অবাক এই রকম কর্মকান্ডে দেখে। গ্রাহত মারাজ আলী জানান, আমার বিল একবারে কম আসে গত ৪-৫ মাসের মধ্যে প্রতিমাসে বিল এসছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা । কিন্তু জুন মাসের বিল এসেছে ১৩৫৯ টাকা। পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক ইমদাদুল হক জানান, এভাবে চলতে দেয়া যায় না। সদরঘাট গ্রামের প্রতিটি পরিবারে এবার তুলনার চেয়ে অনেক বেশি বিল এসেছে এ বিষয় সুষ্ঠভাবে নিষ্পত্তি না হলে আমরা গ্রামবাসী কঠোর আন্দোলনের ডাক দেব। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ এর ডিজিএম মোঃ আব্দুল বারীর নিকট এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রত্যেক মাসের তুলনায় রমজান মাসে বিল একটু বেশি আসে কারণ রমজান মাসে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার করে থাকেন, তারপর যদি রিডিং লেখায় অনিয়ম হয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর