,

বাহুবলে ৪ শিশু খুনের ঘটনায় ৩ জনের ফাঁসির আদেশ প্রধান আসামী বাগালসহ খালাস ৩

বাহুবল প্রতিনিধি \ গ্রাম্য পঞ্চায়েতে বিরোধের জের ধরে বাহুবল উপজেলায় চার শিশু হত্যার রায়ে প্রধান আসামি খালাস পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপ¶ের আইনজীবী। আসামী প¶ উচ্চ আদালতে যাবে বলে জানিয়েছে। দেড় বছর আগে এ হত্যাকান্ডের বিচার শেষে সিলেট দ্র“ত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান গতকাল বুধবার রায় ঘোষণা করেন। গত বছর ১২ ফেব্র“য়ারি বিকালে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মনির মিয়া (৭), শুভ (৮), তাজেল (১০) ও ইসমাইল (১০)। এর পাঁচ দিন পর ইছাবিল থেকে বালিচাপা লাশ উদ্ধার হলে ৯ জনের বির“দ্ধে মামলা হয়। সবার বির“দ্ধেই অভিযোগপত্র দেওয়া হয় আদালতে। ৯ জনের মধ্যে বাচ্চু মিয়া র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। মামলার রায়ে আট আসামীর মধ্যে ৩ জনকে মৃত্যুদন্ডসহ ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, দুইজনকে সাত বছর কারাদন্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, আর তিনজনকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। এই রায়ে অসšে—াষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্র ও আসামী উভয়প¶ের আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপ¶ের বিশেষ পিপি কিশোর কুমার কর বলেন, “মামলার রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। এ রকম একটা নির্মম ঘটনায় আমরা আশা করেছিলাম সব আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হবে। এটি সিলেট বিভাগের সবচেয়ে চ্যাঞ্চল্যকর ঘটনা। পরিকল্পনা করে নিষ্পাপ চার শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা পরিকল্পনায় আসামীদের সবাই জড়িত ছিলেন। সবার শা¯ি— হওয়া উচিত ছিল। তিনি সা¶ীদের বরাতে বলেন, পঞ্চায়েতের দ্বন্ধ নিরসনে মামলার প্রধান আসামী আব্দুল আলী বাগালকে আপস করার কথা বলা হলে বাগাল নিজেই বলেছিলেন, ‘আগে অনেক পাপ করেছি। আর একটি পাপ করেই তওবা করে নেব। কোনো আপস করব না।’ তার এ কথাই প্রমাণ করে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পেলে পর্যালোচনার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। মামলার প্রধান আসামী আব্দুল আলী বাগাল খালাস পাওয়ায় অস¯ে—াষ প্রকাশ করেছেন। এদিকে আসামিপ¶ের আইনজীবী মোঃ শফিউল আলমও এ রায়ে অসšে—াষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “এ রায় আইনের দৃষ্টিতে ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। আমরা রায়ের বির“দ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।” আসামীদের মধ্যে র“বেল মিয়া, আরজু মিয়া ও পলাতক উ¯—ার মিয়াকে মৃত্যুদন্ডসহ ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আর শাহেদ ও র“বেলের ভাই জুয়েল মিয়াকে সাত বছরের কারাদন্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। অনাদায়ে তাদের আরো ছয় মাস সাজা খাটতে হবে। হত্যাকান্ডে সংশি­ষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় সাজাপ্রাপ্ত জুয়েল-র“বেলের বাবা আব্দুল আলী বাগাল, পলাতক আসামী বাবুল মিয়া ও বিল­ালকে আদালত খালাস দিয়েছে। মামলাটি এ বছর ১৫ মার্চ হবিগঞ্জ থেকে সিলেট পাঠানো হয়। মামলায় মোট ৫২ জনের সা¶্য নেওয়া হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর