,

বিশে^র মহৎ নেতা; আমাদের জাতির পিতা… -কেয়া চৌধুরী

যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্ভিক, আপোষহীন,
আন্দোলন সংগ্রামে, গ্রেফতারের ভয়ে যিনি কোনদিন আত্মগোপন করেন নি। সংবিধানিক পথরেখায় স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু যে ইতিহাস রচনা করেছেন, তা তাকে বিশে^র সেরা নেতা’র তালিকার অর্ন্তভূক্ত করেছে। নেতৃত্বের কঠিনতর সময়ে, বঙ্গবন্ধুর সঠিক সিদ্ধান্ত আর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা আজকের-স্বাধীন বাংলাদেশ। এই লক্ষ অর্জনে বঙ্গবন্ধু বিনিয়োগ করেছেন, তার গোটা জীবনের বৃহৎ অংশ। পাকিস্তানের র্দীঘ ২৩ বছরের বঞ্চনার দেয়াল ভেঙ্গে, বঙ্গবন্ধু ঘোষনা দিয়েছেন, তার ঐতিহাসিক ৬ দফা। ৬দফা আন্দোলেন শুরু করলে, পাকিস্থানি শাসসকরা ভয়কভীতি দেখিয়ে নিস্ক্রিয় করতে চেষ্টা করেছে বঙ্গবন্ধুকে। কারাগারে পাঠিয়ে, জুলুম করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বাংলার মুক্তির সনদ ৬ দফা’কে ‘এক দফা’ অথাৎ স্বাধীনতা সংগ্রামের মূলমন্ত্রের ঘোষনায় বলেছেন, ‘৬ দফার কোন কাট-ছাট নয়, প্রয়োজনে ‘এক দফা’ আর এই ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বাঙ্গালি অর্জন করেছ, ‘মহান স্বাধীনতা’। স্বাধীনতার প্রশ্নে আপোষহীন বঙ্গবন্ধু ১ মাস ২২ দিন বন্দি ছিলেন, পাকিস্তান কারাগারে। যুদ্ধের মাঠে অনুপস্থিত থাকলেও, সংকটকালীন সেই মুর্হুত্বে মুক্তিযুদ্ধের সকল দল-উপদলের কাছে স্বাধীনতার প্রতীক ছিলো বঙ্গবন্ধুর নামটি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়লে দেখা যায়, মতাদর্শিক দন্দের পরও ‘বঙ্গবন্ধু’ নাম ধরে রণধ্বনী উঠেছে, যুদ্ধের ময়দানে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতে, সোহুরওয়ার্দী উদ্যানে যেভাবে ছুটে এসেছিল ‘লোহার শ্রমিক’ লাঙ্গল জোয়াল কাদেঁ ঝাঁক বেধেঁ আসা ‘উলঙ্গ শ্রমিক’। ঠিক এভাবেই, বঙ্গবন্ধুর নাম নিয়ে আপোষহীন নিরস্ত্র জনতা স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে আনতে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা হয়ে উঠেছিলো। শ্লোগানে-শ্লোগানে আকাঁশ কাঁপিয়ে রণধ্বণী হয়ে উঠেছিলো ‘জয়বাংলা’-‘জয়বঙ্গবন্ধ’ু। বঙ্গবন্ধুর নাম ধরে, দেশপ্রেমীরা দলে-দলে যুদ্ধের মাঠে পাকিস্তানীদের পরাজিত করেছে। বাংলার কৃষক-শ্রমিক, শিক্ষক-রাজনৈতিক যুদ্ধের মাঠে পাকিস্তানী ঘাতকদের ঘায়েল করেছে, যুদ্ধের মাঠে শহীদ হয়েছে, শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে চেতনার শক্তিতে উচ্চারণ করেছে, ‘জয়-বাংলা’ ‘জয়-বঙ্গবন্ধ’ু। বিশ^ ইতিহাসে এমন নজির মেলা ভার- যেখানে ব্যক্তি ‘শেখ মুজিব’ থেকে ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব’ স্বাধীনতার চেতনার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। ‘নির্দলীয় ইতিহাস’ বইটি’তে লেখক ও ইতিহাসবিধ গোলাম মুরর্শেদ যর্থাতই লিখেছেন ‘বঙ্গবন্ধু কখনও বিপ্লবী নেতা ছিলেন না। স্বাধীনতার প্রশ্নে তিনি ছিলেন নির্ভীক আপোষহীন। যে কারণে আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু কখনো গ্রেফতারের ভয়ে আত্মগোপনে যান নাই। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর যখন অত্মœসমর্পন করে, এর আগের দিন ১৫ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগারে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করবার কথা ছিলো। ৪ঠা ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বিচারের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের মাধ্যমে রায় ঘোষনা করে। আপোষহীন নেতা বঙ্গবন্ধুর, একপ্রান্তে বাংলার স্বাধীনতা আর অপরপ্রান্তে ফাঁসিকাষ্ট। বঙ্গবন্ধু তার জীবনের বিনিময়ে, বাংলার স্বাধীনতা চেয়েছেন। এতো গভীর আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেমের কাছে পাকিস্তানিরা ও হার মেনেছিল। যে-কারণে পাকিস্তানি বন্দিরত শেখ মুজিবকে তারা হত্যা করতে সাহস পায়নি। বরং সিথিল আকাঁরে হলেও, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে কনফেডারেশন বাজায় ও ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈনিককে মুক্তির বিষয়ে, ১৯৭১ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৮ই জানুয়ারী মুক্ত হয়ে পাকিস্তান ত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর কাছে সাহায্য প্রর্থনা করেন, জুলফিকার আলী ভূট্টো। বন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কত শক্তিমান নেতা ছিলেন, যে পাকিস্তানে বন্দি অবস্থায় ও তার সরণার্পূন হতে হয় পকিস্তান নেতা জুলফিকার আলী ভূট্টোকে। সাহায্য চাইতে হয় করোজুড়ে। তখনও বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে ফেরা হয় নি। তারপরও ঢাকার রাজপথে শ্লোগানে-শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে জাতির জনকের নাম। পত্রিকায় বড়-বড় অক্ষরে শিরোনাম আসে, ‘ভূট্টো’র দম্ভ ভেঙ্গেছি, বঙ্গবন্ধু’কে মুক্ত করেছি’ (৫ই জানুয়ারী ১৯৭২) মুত্যৃও মুখ হতে ফিরে আসা বঙ্গবন্ধু দেশ গড়ার কাজ শুরু করেন। যুক্তরাজ্যেও হিথরো বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টা পৌছালে, দশ মাসের র্দীঘ কারাবাস, জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা মুজিব শরিরে কান্ত থাকলেও স্বাভাজাতভাবে প্রিয় পাইপে টান দিতে-দিতে সাংবাদিক ভাইদের উদ্দ্যেশে বলেছিলেন, ও ধস অষরাব ও অস বিষয়, একজন প্রকৃতি রাষ্ট্রনায়কের মতো সেদিন প্রথম সংবাদ সম্মেলন করে, পৃথিবীর সবদেশের কাছে দাবী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবার। তার এই আহবানের ভিত্তিতে জাতিসংঘের অর্ন্তভূক্ত ১১৬টি রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বঙ্গবন্ধু’ই বিশে^র একমাত্র নেতা, মুক্তিযদ্ধের মিত্রবাহিনীর দেশ ভারতের দিলি­তে, লন্ডন থেকে যাত্রা বিরতি করে, রাষ্ট্রিয় মর্যাদা সশস্ত্র অভিবাদন করেই, একদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ও ভারতের জনগণের প্রতি ব্যক্তিগত ও সদ্যস্বাধীন বাংলার মানুষের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান, অন্যদিকে আনুষ্ঠানিকতার শেষ পূর্বে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধির কাছে জানতে চান ভারতীয় সৈন্যবাহিনী কবে তার বাংলাদেশের মাটি ছাড়বে। এমন সাহসী ঐতিহাসিক ঘটনা, বঙ্গবন্ধুর ছাড়া কোন নেতার জীবন ইতিহাসে পাওয়া যায় না। ‘বঙ্গবন্ধ’ মাথা উচু করে দেখা এক বাংলাদেশের নাম। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশকে তার বহুুল প্রত্যাশিত ‘সোনার বাংলা’ গড়বার জন্য কোন সময় নষ্ট না করেই, ১১ই জানুয়ারী অস্থায়ী সাংবিধানিক অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংসদীয় প্রদ্ধতি প্রবর্তন করেন। ১২ই জানুয়ারী ১৯৭২ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সপথ নিয়ে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রীপরিষদ গঠন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমনা। তারপর হতে, যোদ্ধত্তর পরিস্থিতি ও স্বর্দেশ নির্মানের চেলেঞ্জ গ্রহন করে; ২৬ দিনপূর্বে জন্ম নেওয়া নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ’কে নিয়ে। যদিও বাংলাদেশের অস্তিত্ব ঠিকে থাকবে কী না। এই বিষয়ে বিশ^ মোড়ল বড়-বড় অর্থনীতিবিদেরা সংশয় ছিলো। ৯ মাসের গণহত্যা, ১ কোটি স্বরণার্থী, দেশের ভিতরে ২ কোটি বাস্তহারা, ৩০ লক্ষ শহীদেও বিধস্ত পরিবার, ২ লক্ষ সম্ভ্রমহারা নারী, এ সবকিছুর মধ্য থেকে শুরু হলো, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বার সংগ্রাম। যে বঙ্গবন্ধুর নাম ধরে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ হলো, সেই বঙ্গবন্ধু নাম ধরেই শুরু হয়েছিল সদ্যস্বাধীন বাংলায় শহীদের ৩০ লক্ষ শহীদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষে ‘সোনার বাংলা’ গড়বার কঠিনতর কাজ। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে, স্বাধীনতা অর্জনের পর, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে’ই মাত্র নয় মাসের মধ্যে প্রণীত হলো বাংলার মানুষের অধিকার রক্ষায় পবিত্র সংবিধান। অন্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানের মতো মৌলিক সমস্যা সমাধান, কর্মের অধিকার, জীবণমান উন্নয়ন’ই ছিলো আওয়ামীলীগ সরকারের মূল লক্ষ। ‘বঙ্গবন্ধ’ু মানেই অসহায় নিপিড়িত মানুষের বঞ্চনা দূর করবার-শক্তি। বাংলার র্দীঘ ইতিহাসে, বঙ্গবন্ধুর আগে আর কোন শাসক এত ভয়ংকর দূঃঅবস্থায়, এতো বিপুল স্বপ্ন বাস্তবায়নে, এত মানবিক দায়িত্বপালন করতে পারেন নি। মানবিকতার উচ্চতায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন হিমালয়সম। ফিদেল কাস্তো বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, দেখেছি বঙ্গবন্ধু কে’। ফিদেল কাস্তো, উচ্চ দেহ বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হিমালয়ে’র সাথে তুলনা করেন নি, তুলনা করেছিলেন, মানবিক জ্ঞান সম্পন এক উচ্চমানের নেতার। বাংলাদেশকে নিয়ে যার স্বপ্নছিলো আকাঁশের মতো বিশাল। এতো বড় স্বপ্ন দেখার সাহস, বঙ্গবন্ধু ছাড়া ক’জন বিশ^ নেতার জীবন ইতিহাসে পাওয়া যায়। এখনও গ্রামে-গঞ্জে গেলে, বঙ্গবন্ধ’ুর নামে কথা শুরু হলে, প্রবীণদের কন্ঠে তেজদ্বীপ্ত সুর চলে আসে। সবাই, কথা শেষ করেন, একটি কঠিন প্রশ্ন রেখে। ঐ খুনিরা কীভাবে পারলো হত্যা করতে বঙ্গবন্ধু’কে? সত্যিই তো কীভাবে পারলো বঙ্গবন্ধু’কে হত্যা করতে। যে কাজটি পাকিস্তানী জান্তারা, পাকিস্তানি কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধু’কে করতে সাহস পায়নি। বঙ্গবন্ধু বাংলার মেহনতি কৃষক-শ্রমিক, সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখে থাকতে ছেয়েছিলেন। সম্পদের পাহাড় গড়তে চাননি। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে চাননি। চেয়েছিলেন, পাকিস্তানি শক্রুর মতো দূর্নীতির আগ্রাসন থেকে বাংলা মানুষকে রক্ষা করতে। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারী মাসে দূর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ ঘোষনা করেছিলেন। অকপটে বলেছিলেন, বাংলার কৃষক, বাংলার শ্রমিক মেহনতি মানুষের অকান্ত শ্রমে গড়ে উঠা বাংলাদেশকে বাচাঁতে, দূর্নীতিবাজ-ঘুসকোরদের বিরুদ্ধের গ্রামে-গ্রামে দুর্গ্র গড়ে তুলতে। বঙ্গবন্ধ’ুর এই আহবানে সাধারণ মানুষ খুশি হলেও, খুশি হতে পারেনি, ক্ষমতা লোভী ষড়যন্ত্রকারীরা। যারা বঙ্গবন্ধু’র কাছ থেকে সবসময় আদর পেতো, স্নেহ পেতো, তাদের মধ্যে থেকে জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোস্তাক ছিলো অন্যতম। সেনা কর্মকর্তা, জিয়াউর রহমান মেজর হতে, মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছিলো, বঙ্গবন্ধু’র শাসন আমলে। বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দাম্পত জীবনে টানাপুরণে’র সমাধান দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ও বেগম মুজিব। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার, জিয়ার দম্পতি’র উন্নয়নে ও সম্মান রক্ষায় যে, ভূমিকা রেখেছিলেন, তার প্রতিদানে, জিয়া পরিবার বঙ্গবন্ধু’কে পচাঁত্তরের ১৫ই আগস্ট স্ব-পরিবারে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর নিমর্ম হত্যার দিনটি’কে উপলক্ষ করে, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া’র ভুয়া জন্মদিনের পার্টি কেক কাটেঁ। খন্দকার মোস্তাক সংবিধান লংঙ্গন করে, নিজে নিজেকেই রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করেছিলো। বঙ্গবন্ধ’ুর রক্তের উপর, মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে বিশ^াস ঘাতকদের একত্রিত করে, নব্য পাকিস্তানের যাত্রা শুরু করেন। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে, ইতিহাসে দূীক্ষত-ঘৃণিত নাম খন্দকার মোস্তাাক জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধ’ুর তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোনোদিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই। তাতে দেশ সেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়’। বঙ্গবন্ধুর এই বক্তব্য সকল সময়ের জন্য প্রাসঙ্গিক। যে সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে, এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। সেই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু’র দেখা ‘স্বপ্নের সোনার বাংলা’। ৩০ লক্ষ শহীদ যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন পূরণে স্বপ্নসারতি দেশরতœ শেখ হাসিনা। তার হাত ধরে বঙ্গবন্ধু’র খুনিদের বিচারের আওতায় আসতে হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীরে বিচার হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্যেদিয়ে, দারিদ্র বিমোচন করে, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নরে মহাসড়কে। এই বিশাল কর্মযড়েঘ ১৬ কোটি জনগন তার সাথে আছে। লাল-সবুজের ‘সোনার বাংলা’ গড়ায় আমাদের সকলকে দল-মত নিবিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। নিশ্চই, আত্ম-মর্যাদাবান উন্নত বাংলাদেশ গড়তে, এখনও ‘বঙ্গবন্ধু’ নাম’টি হবে, জাতির ঐক্য ও চেতনা’র একমাত্র প্রতীক।


     এই বিভাগের আরো খবর