,

মাধবপুরে ছাত্রলীগ নেতা টিপু হত্যা মামলার রায় ॥ হবিগঞ্জে ৮ জনের মৃত্যুদন্ড ও ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

রফিকুজ্জামান চৌধুরী তুহিন ॥ মাধবপুরে ছাত্রলীগ নেতা দেওয়ান মহসিন টিপু হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ ও ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার বিকালে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভিন এ আদেশ দেন। ফাঁসির দন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন সুধাংশু সেন, সুভাষ সেন, এরশাদ আলী, আব্দুল মালেক, আতাউর রহমান, আবুল কাশেম, লাল মিয়া ও মোশারফ হোসেন। এর মাঝে সুধাংশু সেন, সুভাষ সেন, আবু সায়েদ, নুরুল গণি, ও আব্দুল মালেক রায় ঘোষণাকালে আদালতে উপস্থিত ছিল। যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ প্রাপ্তরা হল হরমুজ আলী, মোস্তাক আহমেদ, জানু মিয়া, শানু মিয়া, জাবেদ মিয়া, জহিরুল ইসলাম, বকুল খা, আমির আলী, দুলাল মিয়া, আবু সায়েদ, জহির ও কামাল মিয়া। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শাহ নুরুল গনি, আবু মিয়া ও মুজিবুর রহমানকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণাকালে শাহ নুরুল গনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর মাঝে হিমাংশু সরকার মৃত্যুবরণ করে। মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি মাধবপুর উপজেলার গাংগাইল গ্রামের মহসিন মাস্টারের পুত্র দেওয়ান মহসিন টিপুকে তার ঘরে প্রবেশ করে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। দুই দিন পর ৯ জানুয়ারি টিপুর স্ত্রী হাসিনা আক্তার বেবী মাধবপুর থানায় একই গ্রামের সুধাংশু সেন, সুভাষ সেন ও হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মাধবপুর থানা পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলে তারা উল্লেখিত আসামীদের নাম প্রকাশ করে। পুলিশ সকল আসামীদের গ্রেফতার করে। এর মাঝে এরশাদ মিয়া, আব্দুল মালেক, আতাউর রহমান ও সুভাষ সেন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। মাধবপুর থানা পুলিশ ২৫ জনকে আসামী করে চার্জশীট দাখিল করে। কিন্তু এতে ক্রটি থাকায় বিচারক মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করেন। দীর্ঘদিন তদন্তের পর ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডির ওসি কামরুজ্জামান খান উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলাটি বিচারের জন্য অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। এরপর অনেক আসামী উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করে। ১৭ জন সাক্ষির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৪ জন তৎকালীন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান, রোকেয়া রহমান, রাজিব কুমার বিশ্বাস ও মাহবুব আলম সাক্ষি প্রদান করেন। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান, খালিকুজ্জামান চৌধুরী, মনোয়ার আলী, বদরু মিয়া ও মুজিবুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি লুৎফুর রহমান তালুকদার ও সালেহ উদ্দিন আহমেদ।


     এই বিভাগের আরো খবর