,

সিএনজি ড্রাইভার ও ছাত্রদের বিরোধ ॥ নবীগঞ্জ-আইনগাঁও সড়কে ২ ঘন্টা অবরোধ ও বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ শিবপাশা টু আইনগাঁও সড়কে কলেজ ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদেরকে সিএনজি গাড়িতে না উঠানোকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্ররা। গত বুধবার সকালে বাউসা ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারে প্রায় দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করেছে দিনারপুর কলেজ ও হরিধরপুর শাহ তাজ উদ্দিন কোরেশী (রহঃ) উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্রছাত্রী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চৌধুরী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী আব্দুল মুহিত দুলুসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ‘বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের সাথে আলোচনা করে ওই দিন রাতেই বিষয়টিকে সমাধান করার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। রাতে শেষ না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আইনগাঁও শিবপাশা সড়কের চৌধুরী বাজার নামক স্থানে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এ সময় ওই সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সিএনজি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পরে তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সিএনজি সংগঠনসহ এলাকার মানুষের উপস্থিতে বিষয়টি ঈদুল আযহার পর সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে বিক্ষোব্ধ ছাত্ররা। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, দিনারপুর কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজ শেষে আইনগাঁও স্ট্যান্ডে গাড়িতে উঠতে চাইলে, সিএনজি গাড়ি তাদের না নিয়েই চলে যায়। এরপর একটি গাড়ি আটকিয়ে দুইজন ছাত্র তাতে উঠে পড়ে। তাদের সাথে অসাদাচরণ করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। নবীগঞ্জের প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে কয়েক শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী দিনাপুর কলেজ হরিধরপুর শাহ তাজ উদ্দিন কোরেশী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠদান করতে আসে। স্কুল শেষে বাড়িতে যাওয়ার বাহন হচ্ছে সিএনজি অটোরিক্সা। যাত্রীদের তুলনায় গাড়ি কম থাকায় পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। ছাত্রদের অভিযোগ সিএনজি অটোরিক্সার অধিকাংশ ড্রাইভার তাদের নিতে চায়না। দুইটি সিএনজি শ্রমিক সংগঠনের অধীনে রয়েছে শিবপাশা আইনগাঁও সড়কের সিএনজি চালকরা। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে তাদের জন্য হাফভাড়া কার্যক্রর করা প্রয়োজন। নবীগঞ্জের প্র্যত্যান্ত অঞ্চল থেকে কয়েক শতাদিক ছাত্র-ছাত্রী দিনারপুর কলেজ শাহ তাজ উদ্দিন কোরেশী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠদান করতে আসে। স্কুল শেষে নিরাপদে বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র বাহন হল সিএনজি অটোরিক্সা। যাত্রীদের তুলনায় গাড়ি কম থাকায় পোহাতে হচ্চে চরম দুর্ভোগ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সিএনজি চালকরা অধিকাংশ সময় তাদের নিতে চায়না। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বেলায় সকল ক্ষেত্রে সহানুভূতিমূলক আচরণ করা উচিত।


     এই বিভাগের আরো খবর