,

ইনাতগঞ্জ হাই স্কুলে শিক্ষকের প্রহারে ৮ম শ্রেণির ছাত্র রক্তাক্ত

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বানিউন্দ গ্রামের মৃত আবুল কালাম এর পুত্র অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আবু হাসান (১৪) কে শ্রেণি কক্ষেই পিঠিয়ে ক্ষত বিক্ষত করলেন শিক্ষক আব্দুল আলিম বাবুল। অবাবধানতা বশতঃ স্যারের শরীরে তার হাত লাগাটাই ছিল আবু হাসানের অপরাধ। বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজিনা সারোয়ার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে সে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বালাগঞ্জ উপজেলার সাদিপুর গ্রামের আব্দুল আলিম বাবুল বিগত প্রায় ৩ বছর পূর্বে ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। গতকাল সোমবার শিক্ষক বাবুল ক্লাশ নিতে অষ্টম শ্রেণিতে যান। ক্লাশ চলাকালীন সময় তিনি হাটছিলেন। এ সময় অসাবধানতা বশতঃ আবু হাসান এর হাত শিক্ষক বাবুলের শরীরে লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হন শিক্ষক বাবুল। সাথে সাথে আবু হাসান স্যারের পায়ে পড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে। কিন্তু এতে কোন কাজ হয়নি। তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এ সময় শিক্ষক বাবুল তাকে দাড় করিয়ে সহপাঠীদের সামনে বেত্রাঘাত করতে থাকেন। আবু হাসানের বড় ভাই আবু কয়েছ জানান,তার শরীরে ৩০/৩৫টি বেত্রাঘাতের দাগ রয়েছে। প্রতিটি দাগই রক্তাক্ত। আবু হাসানকে কাশে পিঠানোর এমন দৃশ্যে দেখে ক্লাশে থাকা সহপাঠীর আতংকিত হয়ে পড়েন। আবু হাসানের চিৎকারে অন্য কাশ থেকে শিক্ষককরা ছুটে এসে তাকে রক্ষা করেন। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি পর এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তীব্র নিন্দা জানিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুল আলম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিক্ষার্থীদের উপর হাত তোলা নিষেধ জানার পরও শিক্ষক বাবুল এমন ঘটনা করেছেন। যা ঠিক হয়নি। সাথে সাথে তাকে ক্লাশ থেকে আমি বের করে দিয়েছি। আজ মঙ্গলবার ম্যানেজিং কমিটির সভা আহবান করা হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর