জুয়েল চৌধুরী ॥ হাইকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরাকে সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা আইনজীবি সমিতি। গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে জেলা আইনজীবি সমিতির প্রধান কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। আইনজীবি সমিতির সভাপতি আফিল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমানের পরিচালনায় এতে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আতাব উল্লাহ, নারী ও শিশু আদালতের বিচারক চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোলায়মানসহ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। এতে বক্তব্য রাখেন পিপি মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবি চৌধুরী আব্দুল হাই। এ ছাড়াও অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পিপি এম আকবর হোসেন জিতু, স্পেশাল পিপি আবুল হাশেম মোল্লা মাছুম, এডভোকেট আবুল খায়ের, সালেহ উদ্দিন আহমেদ, মনোয়ার আলী, ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন, আব্দুল মোতালিব চৌধুরী, আবুল ফজল, তাজ উদ্দিন সুফি, মোঃ বদরু মিয়া, মোঃ আতাউর রহমানসহ দুই শতাধিক আইনজীবি। আইনজীবিরা তাদের বক্তব্যে বলেন হবিগঞ্জে ১৯ হাজার ফৌজদারী মামলা ঝুলে রয়েছে। নারী ও শিশু মামলা ৬ হাজার এবং ৪ হাজার ল্যান্ড মামলা ঝুলে আছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ জন। নারী শিশু জজ ১ জন থেকে বাড়িয়ে ২ জন, অতিরিক্ত জজ ১ জন থেকে বাড়িয়ে ২ জন করতে দাবি জানান আইনজীবিরা। তারা বলেন, অল্প সংখ্যক বিচারক দিয়ে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব নয়। বিচারকদের সংখ্যা আরো বাড়াতে হবে। এ ছাড়াও কোর্ট রেফারেন্স প্রতি বছরের ১ দিন না করে আইনজীবিরা মারা গেলেই কোর্ট রেফারেন্স করার দাবি জানান। প্রধান অতিথি বিচারপতি জিনাত আরা বলেন, হবিগঞ্জে বিচারক, আইনজীবি, পেশকার, সহায়ক ও আইনজীবি সহকারিদের কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ ছাড়াও আইনজীবিদের দাবি দাওয়া পূরণ করার আশ্বাস দেন। এ ছাড়াও ঝুলে থাকা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিচারকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত করেন সিনিয়র আইনজীবি ইমান উল্লাহ, গীতা পাঠ করেন শিপন পাল।