,

নদী-জলাশয়ে মাছদের আর অভয়াশ্রম নেই হবিগঞ্জে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশিয় মাছ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মাছদের পালানোর পথ। নদী-জলাশয়ে এখন আর অভয়াশ্রম নেই। আপন নিবাসে থেকেও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা পেতে পালাবার সব পথই যেন রুদ্ধ। অন্তত, হবিগঞ্জের চিত্র এখন এ রকমই। এখানে মাছ পালানোর পথ বন্ধ করে ফেলছে একশ্রেণীর মৎস্য শিকারীরা। হবিগঞ্জের বিভিন্ন নদীতে তারা নানা উপায়ে মাছের বিচরণে বাধা সৃষ্টি করছে। মাছকে আবদ্ধ করে রাখছে। এতে করে দেশিয় মাছের বংশ বিস্তারে মারাত্মক বাধার সম্মুখীন। অথচ এদিকে কারোই দৃষ্টি নেই। তারপরও মৎস্য বিভাগ বলেছে মাছের বংশ বিস্তারে তারা সজাগ। এনিয়ে তারা কাজ করছে। হাওর, পাহাড়, নদী, নালা, খাল, বিল নিয়ে হবিগঞ্জ জেলার অবস্থান। পাহাড় থেকে জলাধারা শুরু হয়ে মিলন হয়েছে অনেক নদীনালায়। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নদী হলো খোয়াই, বেড়ামোহনা, করাঙ্গী, বিজনা, শুটকী, বরাক, কুশিয়ারা, সুতাং, রতœা, ঝিংড়ী। এ ছাড়াও জেলায় রয়েছে হাওর, বিল, খাল, ডোবাসহ প্রাকৃতিক জলাশয়। এসব জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিচ্ছে বোয়াল, শিং, খই, পাবদা, মলা, আইড়সহ নানা প্রজাতির দেশিয় মাছ। একশ্রেণির লোকজন শীতকাল ঘনিয়ে আসতেই বাঁশ ও বিভিন্ন গাছের ডালপালা দিয়ে ‘ফাঁদ’ তৈরি করে নদীতে ফেলে অবাধে দখল করে নিয়েছে নদীর জলরাশি। মাছকে সীমিত পরিসরে আটকে ফেলে অদ্ভূত এক শিকার যুদ্ধে নেমেছে। এসব লোকজন পুরো নদীজুড়েই দখল করার প্রতিযোগীতায় নেমেছে। তাদের থামানোরও কেউ নেই যেন। দিন দিন তারা নদী দখল করে মাছ শিকার অব্যাহত রেখেছে। এ নিয়ে পরিবেশ প্রেমিকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থা চলায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। যেভাবে এক শ্রেণীর লোকেরা নদী দখল করে ‘ফাঁদ’ ফেলে আবদ্ধ করে রেখেছে এতে মাছ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। মাছদের পালাবার পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাছের স্বাধীনতা কেঁড়ে নেয়া হয়েছে। এটি অপরাধ। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন আহাম্মদ জানান, জেলার জলাশয়ে দেশিয় মাছের প্রসার ঘটাতে আমরা কাজ করছি। নদী দখলের পক্ষে আমরা নয়। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা প্রয়োজন। নদী হলো মাছের আবাসস্থল। হাওরে পানি কমে গেলে মাছ আশ্রয় নেয় নদীতে। এখানে অবাধে মাছ শিকার হলে উপায় থাকবে না।


     এই বিভাগের আরো খবর