,

নবীগঞ্জ রসুলগঞ্জ বাজারে সহিংসতার ঘটনা শালিসে নিস্পত্তি আলীপুর গ্রামের ৩ লক্ষ সিএনজি’র ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ

জসিম তালুকদার/ছনি চৌধুরী ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনা শালিস বিচারে নিস্পত্তি হয়েছে। ফলে বড় ধরনের সংঘষের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ২৮টি গ্রাম। গতকাল রবিবার দুপুরে রসুলগঞ্জ বাজার সংলগ্ন স্থানে অনুষ্ঠিত শালিস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নবীগঞ্জ-বাহুবল নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবু এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী, হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী রইছ মিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, জেলা শ্রমিক নেতা সজিব আলী, সাবেক বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল, উপজেলা জাপার আহবায়ক ডাঃ শাহ আবুল খায়ের, কাউন্সিলর ও সময় পত্রিকার সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, বিএনপির সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান শেফু, বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু সিদ্দিক, কালিয়ারভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাজু আহমদ চৌধুরী, সাবেক সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী, নবীগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি এয়র মিয়া, পৌরসভার প্যানেল মেয়র এটিএম সালাম, বশির আহমদ চৌধুরী, জমরু মিয়া, মিনিবাস মালিক সমিতির সেক্রেটারী মাহবুবুল আলম সুমনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।received_2009615945933719 উক্ত শালিস বিচারে উভয় পক্ষের জবান বন্দি এবং সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির দিক বিবেচনায় আলীপুর গ্রামবাসীর উপর ৩ লক্ষ টাকা এবং সিএনজি শ্রমিকদের উপর ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণ বাবদ ধার্য্য করা হয়েছে। উক্ত বিরোধ শালিসে নিস্পত্তি হওয়ায় ২৮টি গ্রামবাসী বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। শালিস বিচারে পুলিশ প্রশাসনসহ শালিসবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি উপজেলার রসুলগঞ্জ বাজারে সিএনজি চালক ও বাসের চেগার এর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিএনজি শ্রমিক ও তিমিরপুর, মুরাদপুর বনাম আলীপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দেয়। সংঘর্ষে ইট পাটকেল লাটিসোটা ব্যবহার করা হয়। এসময় উভয় পক্ষে প্রায় ১৫ জন লোক আহত হয়। এছাড়া দোকান পাট, মটর সাইকেল, সিএনজি ভাংচুর করা হয়। পরবর্তীতে ২৬ গ্রামবাসী একদিকে এবং বড় আলীপুর, ছোট আলীপুর এক দিকে অবস্থান নেয়ায় পরিস্থিতি উত্তোপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনার প্রেক্ষিতে সার্কেল সিনিয়ল সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রাসেলুর রহমান, নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হয়ে বিশিষ্ঠ মুরুব্বিয়ানের সমন্বয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং শালিসের উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে দফায় দফায় আলোচনা করে ঘটনার শালিসের সৃষ্টি হয়। ফলে এলাকার থমথমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠে। গতকাল রবিবার শালিস বৈঠকের মাধ্যমে বিরোধীয় বিষয়টির পরিসমাপ্তি ঘটে। উভয় পক্ষের মধ্যে সৌহাদ্যপুর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর