,

কাফনের কাপড় পরে রাজপথে শিল্পীরা ॥

সময় ডেস্ক: বিদেশি ছবি আমদানি ও প্রদর্শন বন্ধের দাবিতে বুধবার দুপুরে কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে রাজপথে নামেন চলচ্চিত্রাঙ্গনের শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা। এ সময় তারা ‘বাংলা ভাষা আমার মা, বাংলা আমার সিনেমা, হিন্দি ছবির দালালরা হুশিয়ার সাবধান’সহ নানা সস্নোগান দেন। শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের প্রতিবাদী এ মিছিলটি বিএফডিসি থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। এ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক শাকিব খান, রুবেল, অমিত হাসান, আহমেদ শরীফ, অমৃতা খান, জায়েদ খান প্রমুখ। সঙ্গে ছিলেন বিশিষ্ট নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান, মুশফিকুর রহমান গুলজার, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকসহ চলচ্চিত্র জগতের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। তাদের দাবি, প্রয়োজনে জীবন দেবেন কিন্তু হিন্দি কিংবা উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র বাংলাদেশে প্রদর্শিত হতে দেবেন না। জানা গেছে, আগামীকাল সালমান খান অভিনীত হিন্দি ছবি ‘ওয়ান্টেড’ বাংলাদেশের কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। হিন্দি ছবির আগ্রাসন রুখতেই শিল্পী-পরিচালকদের এই বিক্ষোভ-মিছিল। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯টি সংগঠন মিলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোট গঠন করা হয়েছে। এর উদ্যোগেই এ মিছিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়া অন্য সংগঠন গুলোও তাদের নিজস্ব ব্যানার নিয়ে এতে শামিল হয়েছিল। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে মানববন্ধন করে। এ সময় সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘এমনিতেই নানা কারণে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প মৃতপ্রায়। সরকার যেখানে চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে উদ্যোগ নেবে, কিন্তু সেটা না করে উল্টো ভারতীয় ছবি আমদানি করার অনুমতি দিয়ে আমাদের আরো ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এমতাবস্থায় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে। পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছি। পজেটিভ কিছু আশা করছি। এখন পর্যন্ত আমরা অসহিংসভাবে আন্দোলন করছি। ভারতীয় ছবি আমদানি বন্ধ না হলে কঠের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’ উল্লেখ্য, ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ভারতীয় ১২টি চলচ্চিত্র আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছিল। এর মধ্যে হিন্দি ৯টি ও বাংলা চলচ্চিত্র তিনটি। তবে এতদিন হিন্দি কোনো ছবি মুক্তি না পেলেও ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ভারতীয় বাংলা ছবি ‘জোর’, ‘বদলা’ ও ‘সংগ্রাম’ প্রদর্শিত হয়েছে। তখন থেকেই চলচ্চিত্র অঙ্গনের সংশ্লিষ্টরা ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর