,

বাহুবলের যাদবপুরে মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে ধুম্রজাল

FB_IMG_1509690731694-300x225বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলার যাদবপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের আঘাতে আইন উল্লা (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ মৃত্যু নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। এক পক্ষ বলছে মারধোরের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে অপর পক্ষ থেকে বলছে স্ট্রোকে
আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। ফলে এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মৃত জিগর উল্লার পুত্র। নিহতের কন্যা রাজনা খাতুন অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির সীমানা নিয়ে তার ছোট চাচা মৃত সাদত উল্লার কন্যা পুটিজুরী ইউনিয়ন অফিসের ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের মাঠকর্মী আয়েশা আক্তারের সাথে তার পিতার বিরোধ চলে আসছে। গতকাল সকালে তার পিতা বালু নিয়ে আয়শা আক্তারের ঘরের সামন দিয়ে আসছিলেন। এ সময় আয়েশা তার বোন  নায়িমা এবং আকলিমা তার পিতাকে গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় আয়েশা আইন উল্লাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে আইন উল্লার বুকে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়। প্রথমে তাকে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে আশংকাজনক অবস্থায় আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ত্রিলোক চাকমা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় তার সাথে আসা লোকজন জরুরি বিভাগের খাতায় ‘বট ডেথ’ লিখিয়ে লাশ নিয়ে যায়। ঘন্টাখানেক পরে লাশ নিয়ে এসে জানায় তাকে মারধোর করা হয়েছে। পরে খাতায় নতুন করে মৃত্যুর কারণ লিপিবদ্ধ করে সদর থানায় প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে সহকারি পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম, পুটিজুরী ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রাসেল আহমেদসহ একদল পুলিশ সদর হাসপাতালে এসে লাশের শরীর পরীক্ষা করে শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাননি। তবে আইন উল্লার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। পরে বিকাল ৫টায় সদর থানার এসআই মুফিজুল ইসলাম লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করেন। আইন উল্লার কন্যা আরো জানায়, দীর্ঘদিন আগে তার চাচা মারা যাবার পর আয়েশাসহ তার অন্য ভাই বোন ও মাকে আইন উল্লায় দেখাশুনা করতেন। নজরুল ও সাইদুল নামে আইন উল্লার দুই পুত্র রয়েছে। যারা দুইজনই প্রবাসি। একটি সূত্র জানায়, হাতাহাতির কারণে আয়েশা ও নাইমা আহত হয়ে বাহুবল উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। রাতে জাানজার নামাজ শেষে আইন উল্লাকে দাফন করা হয়। বাহুবল মডেল থানার ওসি মাসুক আলী বলেন, মারামারির ঘটনার পরে আইনুল্লা নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে শুনেছি। সুরতহালে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন নাকি মারধরের আঘাতে মারা গেছেন তা ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর