,

নবীগঞ্জে এ্যাপ্রেনটিচশীপ প্রোগ্রামের কাজ এগিয়ে চলেছে: ইউএনও তাজিনা সারোয়ার

স্টাফ রিপোর্টার ॥  গত কাল বুধবার নবীগঞ্জ উপজেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের এ্যাপ্রেনটিচশীপ
(শিক্ষানবিশি) ও কর্মসংস্থান বিষয়ক দুইদিনের প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব তাজিনা সারোয়ার। এসময় উপস্থিত ছিলেন এটুআই ও আইএলও এর রিসোর্স পার্সন জনাব মোঃ তানভীর হোসেন, এটুআই এর উপজেলা কো-অর্ডিনেটর জনাব হেলাল আহমদ, এটুআই এর উপজেলা প্রশিক্ষক জনাব মনসুর আহমদ। অনুষ্ঠানে নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ট্রেডের ২০জন প্রশিক্ষক দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। গত ১ লা অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই প্রোগ্রামের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব তাজিনা সারোয়ার জানান,  প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের অন্যতম বিষয় হল দক্ষ মানব স¤পদ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। সবার জন্য যথাপোযুক্ত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করা একটি অন্যতম লক্ষ্য। রেমিটেন্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয়ে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হল কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা। যার মধ্যে ঝরে পড়া যুবকদের জন্য এ্যাপ্রেনটিচশীপ (শিক্ষানবিশ) প্রোগ্রামের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন একটি উল্যেখযোগ্য উদ্যোগ। ইউএনও আরো জানান, এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে ২০১৬ সালে পাইলট আকারে দেশের ৩০ টি উপজেলায় ইনফরমাল সেক্টরে এ্যাপ্রেনটিচশীপ (শিক্ষানবিশ) প্রোগ্রাম চালু করা হয়। এই প্রোগ্রামের সফলতার ভিত্তিতে চলতি বছরে দেশের ৫০ টি উপজেলায় এই কাজটিকে আরো সম্প্রসারনের উদ্যোগে নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এটুআই প্রোগ্রাম থেকে উপজেলা ভিত্তিক একজন করে কো-অর্ডিনেটর ও তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য উদ্যোক্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১ লা অক্টোবর মাসের শুরুতে আনুষ্ঠানিক ভাবে উপজেলা পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে যার মধ্যে নবীগঞ্জ  উপজেলা ও রয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব তাজিনা সারোয়ার জানান। তিনি বলেন, আর এতে উপজেলার কাঠমিস্ত্রী, কাঠের নকশার কাজ, ওয়েল্ডিং, মোটরসাইকেল মেরামত, , মোবাইল ফোন মেরামত ইত্যাদিতে কর্মক্ষেত্রে খুজে বের করা এবং আগ্রহী ২০টি কর্মক্ষেত চুড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়েছে।এই ২০টি কর্মক্ষেত্রের জন্য ৪০জন এ্যাপ্রেনটিচশীপ (শিক্ষানবিশ) হিসেবে উপজেলার কাছাকাছি স্বল্প শিক্ষিত বা পড়াশুনার সুযোগ পায়নি স্থানীয় বেকার যুবক-যুবতীদের চুড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে ২জন করে শিক্ষানবিশ ৬ মাস ব্যাপী সপ্তাহে ১ দিন হাতে কলমে কাজ শিখছে। পাশাপাশি ৪০ জন শিক্ষানবিশ ২০টি কর্মক্ষেত্রে ২জন করে শিক্ষানবিশ মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা পাবে। এই ভাতা প্রশিক্ষণকাল ৬ মাসের জন্য প্রযোজ্য। আর এতে ঝড়ে পড়া, সুবিধা বঞ্চিত, বেকার-যুবক-যুবতীরা অগ্রাধিকার পাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ইউএনও এধরনের উদ্যোগ গ্রহন করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর