,

বাহুবলে চুরির ধরণ পাল্টিয়েছে চোরেরা

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ আইনী ঝামেলা এড়াতে বাহুবলে চুরির ধরণ পাল্টিয়েছে চোরেরা। পেশাদার চোরেরা চুরি কর্মে ব্যবহার করছে অপরিণত বয়সের শিশু-কিশোরদের। পুলিশের সাড়াশি অভিযানের কারণে দাগী চোর-ডাকাত
আত্মগোপনে চলে গেলেও সামান্য অর্থের বিনিময়ে ব্যবহার করা হচ্ছে এ বয়সের কিশোরদের। অপরিণত বয়সের কিশোর চোরকে হাতে নাতে ধরলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা পুলিশ প্রশাসনকে। এমনি একটি ঘটনার মুখে পড়তে হয়েছে বাহুবল থানা পুলিশকে। গত বুধবার বাহুবলের মিরপুর ইউনিয়নের মির্জটুলা গ্রামে দিন দুপুরে এক বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়। এ ঘটনায় জনতার হাতে ধরা পড়ে শাকিল মিয়া (১৫) নামের এক কিশোর। পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে পুলিশের নিকট চুরির সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং তাকে প্রলোদ্ধকারীদের তথ্য দেয়। এমনকি তার মাও নিজের সন্তানের বিপথগামী হওয়ার ব্যাপারে অসন্তোষ্টি প্রকাশ করেন। কিন্তু তার বয়স জটিলতার কারণে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পড়ে বিপাকে। অবশেষে গতকাল দুপুরে ওই কিশোরকে তার মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাহুবল মডেল থানার এস আই সোহেল মাহমুদ। এলাকায় খোজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় বশিনা গ্রামেও দিনের বেলায় একাধিক চুরির ঘটনায় নগদ টাকাও স্বর্ণালঙ্কার খোয়া গেছে। অপরদিকে, উপজেলার খোজারগাও গ্রামে মসজিদের পাশে মিজানুর রহমানের টং দোকানে ২১ ও ২৯ অক্টোবর এবং গত ৮ নভেম্বর দিনগত রাতে পরপর তিনবার চুরির ঘটনা ঘটে। রাতের আধারে তালা ভেঙ্গে মালামাল নিয়ে যায় চোরেরা। এদের নেপথ্য নায়ক প্রাপ্ত বয়সের হলেও মুল ঘটনা করানো হয় অপ্রাপ্ত বয়সের কিশোরকে দিয়ে। যার কারণে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারছেন না কেউ। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কামাইছড়া ফাড়ির ইনচার্জ মোঃ মহরম আলী।


     এই বিভাগের আরো খবর