,

লাখাইয়ের সন্তোষপুরে দু‘পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

জুয়েল চৌধুরী ॥ লাখাই উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছে। এ সময় মহিলা ও শিশুসহ ১৫ জন আহত হয়। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে বাড়িঘরে
ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহত সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত সুরত আলীর পুত্র আনোয়ার আলী (৬৫) এর সাথে একই গ্রামের মৃত সিকান্দর আলীর পুত্র সাবেক মেম্বার আব্দুল আওয়ালের মাঝে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তাদের আধিপত্য বিস্তারে গ্রামে একাধিকবার সংঘর্ষ হয় এবং এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। গতকাল ওই সময় আনোয়ার আলীর জমিতে খেলতে যায় আওয়ালের গোষ্ঠীর লোক চাঁন মিয়ার সন্তানরা। এ সময় আনোয়ার আলী শিশুদের খেলতে নিষেধ করে এবং চাঁন মিয়ার পুত্রকে মারধর করে। বিষয়টি আওয়ালের নিকট পৌছলে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আনোয়ার আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সাথে সাথে তাকে উদ্ধার করে বামৈ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে দুপুর ২টার দিকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ দেবাশীষ দাস তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে আনোয়ার আলী (৬৫) এর মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌছলে উভয় পক্ষের মাঝে আবারো সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে লাখাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর আহত অবস্থায় ফরাশ উদ্দিন (৩০), মিনারুল মিয়া (২৫), আব্দুল আওয়াল (৫০) ও তাহমিনা বেগম (৩০) কে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া মত্ত মিয়া (৪৫), সেলিম মিয়া (৩০) ও আয়নাল হক (৩২) কে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সদর হাসপাতালে আহত মৃত আনোয়ার আলীর নাতি আহত মিনারুল মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ালের গোষ্ঠীর বিরোধ চলে আসছে আমাদের সাথে। গত ১ সপ্তাহ ধরে আওয়ালের পুত্র সাহাজুল (২৫) তার ছোট বোন আসমা (২০) কে উত্যক্ত করে আসছে। এ নিয়ে সালিশও হয়। সালিশে সাহাজুলকে দোষী সাব্যস্থ করে সতর্ক করা হয়। এরপর থেকেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ ব্যাপারে লাখাই থানার ওসি মোঃ বজলার রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে আওয়াল মিয়া, চান মিয়া ও আনোয়ার আলীর গোষ্ঠীর মাধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সংঘর্ষে আনোয়ার আলী নিহত হয়। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং দাঙ্গাবাজদের ধরতে অভিযান চলছে। ডাঃ দেবাশীষ দাস জানান, সদর থানার এসআই মির্জা মাহমুদুল করিম লাশের সুরতহাল তৈরি করে লাশ মর্গে প্রেরণ করেন। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে আনোয়ার আলীকে নিয়ে এলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে আজ রবিবার ময়নাতদন্ত করে রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।


     এই বিভাগের আরো খবর