,

মাধবপুরে কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ॥ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদ-

জুয়েল চৌধুরী ॥ মাধবপুর উপজেলার সাতপাড়িয়া গ্রামে যুবতীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের দায়ে মাহবুবুল ইসলাম সুমন (২৫) নামের এক প্রবাসিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার দুপুরে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু আদালতের বিচারক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। মাহবুবুল ইসলাম সুমন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল শংকরপাশা গ্রামের জাকির হোসেন ওরফে নানু মাস্টারের পুত্র। রায় ঘোষণার সময় সুমন পলাতক ছিল। মামলার বিবরণে ও আসামীপক্ষের জবাবদৃষ্টে জানা যায়, ২০১০ সালের ২ জানুয়ারি বিকালে মাধবপুর উপজেলার সাতপাড়িয়া গ্রামের সাবেক সেনাবাহিনীর ল্যান্স নায়েক আবিদুর রহমান চৌধুরীর কন্যা কলেজ ছাত্রী শারমিন চৌধুরীকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। ওই বছরই ৫ জানুয়ারি শারমিনের চাচাতো ভাই ইউনুছ মিয়া বাদি হয়ে সুমন ও তার পিতা নানু মাষ্টারের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন এসআই আলমগীর হোসেন ও আতিকুর রহমান নানু মাষ্টারকে বাদ দিয়ে সুমনকে আসামী রেখে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত বিচার কাজ শুরু করেন। এদিকে সুমন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। দীর্ঘ হাজতবাসের পর আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর সে আদালতে জবাবদৃষ্টে কাগজপত্র দাখিল করে। সে আবেদনে জানায়, কলেজে লেখাপড়ার সময় তার সাথে শারমিন চৌধুরীর পরিচয় হয়। এক সময় দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি শারমিনের পরিবার মেনে নেয়নি। তারা ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি দুজন পালিয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে থেকে ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি নারায়নগঞ্জে এডভোকেট নুরুল হক চৌরুরীর এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে। এর পরের দিন কাজী হুমায়ুন রশিদের উপস্থিতিতে ওই দিন কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়। পরে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে শারমিন চৌধুরীকে উঠিয়ে দিবে মর্মে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়। কিন্তু আপোষ না হওয়ায় মামলার কার্যক্রম চলতে থাকে। সাক্ষি প্রমাণ শেষে আদালত গতকাল এ রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম ও তার সহকারি এপিপি মোঃ আসাদুজ্জামান চৌধুরী। এদিকে আসামী সুমন জামিনে গিয়ে মালয়েশিয়া চলে যায়। এ কারণে সে রায় প্রদানকালে আদালত অনুপস্থিত ছিল। নারী ও শিশু কোর্টের পেশকার সালেহ উদ্দিন জানান সাজা পরোয়ানা থানায় প্রেরণ করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর