,

নবীগঞ্জে মিনি স্টেডিয়াম নিয়ে এমপি কেয়া চৌধুরীকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে আমাদের বক্তব্য ও ব্যাখ্যা

নবীগঞ্জে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নিয়ে চৌশতপুর স্টেডিয়াম বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে গত মঙ্গলবার নবীগঞ্জ নতুন বাজার মোড়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় (সিলেট-হবিগঞ্জ) সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলকে জড়িয়ে বক্তারা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম চৌশতপুর থেকে সাতাইহাল মাঠে নেওয়ার ষড়যন্ত্র মূলক অভিযোগ এনে যে মিথ্যা অপবাদ তুলে ধরেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে দিনারপুর এলাকার ক্রীড়ামোদীদের পক্ষ থেকে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো আমরা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল ফুটবল মাঠকে মিনি স্টেডিয়ামে রুপান্তিত করতে চেষ্টা চালিয়ে আসছি এরই ধারাবাহিকতায় সাতাইহাল ফুটবল মাঠের পক্ষ থেকে ক্রীড়ামোদী ও এলাকার মুরব্বীদের নিয়ে আমরা এমপি কেয়া চৌধুরী’র সাথে যোগাযোগ করি। এবং তিনি সাতাইহাল ফুটবল মাঠের নামে একটি ডিও লেটার দেন।  উল্লেখ্য ২০১৩ইং সনে নবীগঞ্জ উপজেলার সব চেয়ে উপযুক্ত খেলার মাঠ হিসেবে সাতাইহাল ফুটবল মাঠকে তৎকালিন নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিলেট বিভাগীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করেন।  সাতাইহাল মাঠে অনুষ্ঠিত সিলেট বিভাগীয় টুর্নামেন্ট তৎকালিন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট বিভাগের ৪ টি জেলার জেলা প্রশাসকসহ সরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উক্ত টুর্নামেন্ট খেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে তৎকালিন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান সাতাইহাল মাঠের উন্নয়নে সরকারি অনুদানের দাবী তুলেন। তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সরকারী ভাবে যদি কোনো সুযোগ সুবিধা আসে তাহলে নবীগঞ্জ উপজেলার সাতাইহাল মাঠকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। অনুষ্ঠিত সিলেট বিভাগীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অর্থায়ন না নিয়ে সাতাইহাল এলাকাবাসীসহ দিনারপুর এলাকার ক্রীড়ামোদীদের উদ্যোগে দেড় লক্ষ টাকা ব্যয় বহণ করেছিল। ইতিমধ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সাতাইহাল মাঠে বিশাল ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ওই মাঠে খেলা দেখতে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে ফুটবল প্রেমীরা আসেন। যা সকলই অবগত আছেন।  তাই আমরা দিঢ় চিত্তে বলতে চাই চৌশতপুর মাঠের নাম ব্যাবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে সংগঠনের মধ্যে তথা দিনারপুর এলাকার মধ্যে দিদা বিবক্তির যে নোংরা খেলা খেলছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রকৃত ঘটনা হলো সংশ্লিষ্ট ক্রিড়ামন্ত্রনালয়ের মধ্যে ২০১৮সালের মধ্যে নবীগঞ্জে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের নাম অন্তভুক্ত হয়নি তাহলে কেন এই আন্দোলন সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে চৌশতপুর স্টেডিয়াম এর ব্যানারে আন্দোলনের নামে কার স্বার্থ হাসিলের জন্য এই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তা নবীগঞ্জের সচেতন মহল ও দিনারপুর এলাকাবাসী জানতে চায়। পরিশেষে আমরা উল্লেখিত স্টেডিয়াম নিয়ে এমপি কেয়া চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলের নাম জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই

প্রতিবাদকারী, এলাকাবাসীর পক্ষে
আলী  নেওয়াজ গাজী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গজনাইপুর ইউপি আওয়ামীলীগ।
তুয়াব উল্লাহ সাবেক মেম্বার সভাপতি ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ,
সাবেক মেম্বার হাজী মোঃ চান্দলী সভাপতি ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ,
আব্দুস শহিদ সাধারণ সম্পাদক,৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ,
আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক মেম্বার মহারাজ মিয়া, আঃ বসির, ইছাক মিয়া, আব্দুল মুহিত।


     এই বিভাগের আরো খবর