,

আখাউড়া-সিলেট রেলওয়ের পরিত্যক্ত ভূমি অবৈধ ভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে ॥ উচ্ছেদের কোন উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের

সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর ॥ আখাউড়া-সিলেট বেহাত হয়ে আছে বাংলাদেশ রেলওয়ের  হাজার হাজার কোটি টাকার পরিত্যক্ত ভূমি দখল করে নিচ্ছে এক শ্রেণীর লোকেরা। কয়েক বার উচ্ছেদ অভিযানের প্রস্তুতি নিলে ও  কী কারণে থমকে যাচ্ছে উচ্ছেদ অভিযানের কার্যক্রম জানেন না কেউই। এসব রেলওয়ের পরিত্যক্ত ভূমি উদ্ধারের সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষের তেমন কোন উদ্যোগ না থাকায় দিন দিন দখল হচ্ছে রেলের সম্পত্তি। এসব রেলের ভূমিতে গড়ে উঠেছে ছোট ও বড় মার্কেট, বিভিন্ন দোকান ঘর, রাজনৈতিক অফিস, বিভিন্ন সংগঠনের ক্লাব, শিল্প কারখানা, কৃষি জমি, ডেইরী ও পোল্ট্রি খামার, স্কুল, মসজিদ, ক্লিনিক, গরুর বাজার, মৎস্য খামার, হাট বাজার, নার্সারীসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনাগড়ে উঠেছে। অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি, অবসর প্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও জন প্রতিনিধিরা রেলের অবৈধ জায়গা দখল করে কেউ ব্যবসা, কেউ ভাড়া, আখাউড়া-সিলেট রেলওয়ে  ঘুরে দেখা যায়, রেলের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে বিদ্যুৎ জালানো হচ্ছে রেলওয়ে ভূমিসহ এর বাইরে ব্যবহার করছে। আখাউড়া-সিলেট রেল সংশ্লিষ্টদের অভিমত, মূলত অপ্রতুল জনবল, দক্ষ ও সৎ ব্যবস্থাপনার অভাবেই আখাউড়া-সিলেট পূর্বঞ্চলের রেলওয়ের ২৪ হাজার ৪০১একর জমি দিন দিন বেহাত হচ্ছে। সুত্রে জানা যায়, রেলের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী মোটা অংকের টাকার বিনিময়ের রেলের পরিত্যক্ত ভূমি দেয়া হচ্ছে। আবার কেউ রেলের ভূমি মালিকানা দাবি করে দখল করে নিয়ে উচ্চ আদালতে স্বত্ব মামলা করে যাচ্ছে। এইসব ভুমি দখল নিয়ে উচ্চ আদালত হতে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছেন এবং দখলকৃত ভূমিতে উচ্ছেদ না করার জন্য এদের এই উদ্দেশ্য। এদিকে আখাউড়া-সিলেট রেল সেকশনের হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শায়েস্তাগঞ্জ রি-মডেলিং জংশনের আওতাধীন হয়ষপুর-সাটিয়াজুরী রেলষ্টেশন পর্যন্তএছাড়া হবিগঞ্জ চৌধুরীবাজার বাল্লা রেলষ্টেশন পর্যন্তশত শত একর পরিত্যক্ত ভুমি এক শ্রেণীর ভূমিখেকো ও প্রভাব শালীদের দখলে নিয়ে মাকেট বিভিন্ন দোকান পাট, কৃষি জমি, মশ্যখামার, হাটবাজার, গাড়ি স্ট্যান্ড, মসজিদ, ক্লাব, রাজনৈতিক অফিস, শিল্প কারখানাসহ অনেক কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের পরিত্যক্ত জমি নিয়ে রেল প্রশাসনের নজর না থাকায় এসব ভূমি জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে রেলের বিপুল পরিমান সম্পত্তি। এসব রেলের পরিত্যক্ত ভূমি উদ্ধার ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে রেল মন্ত্রনালয় সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নজর দেওয়া উচিত।


     এই বিভাগের আরো খবর