,

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ১লা ডিসেম্বর দৈনিক হবিগঞ্জের জনতার এক্সপ্রেস পত্রিকায় প্রথম পৃষ্ঠায় নবীগঞ্জে ৩ পুত্রের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, আমাদের জায়গা জমি বাটভাটোরা নিয়ে আমার ভাই আহমদ আবুল কালামসহ  পরিবারের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সমাধানের লক্ষে সবার উপস্থিতে শালিস বৈঠক বসে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ, সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ আহমদ পাঠান, সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ জিহাদী, কসবা গ্রামের বিচারক ছাদ উল্লাহসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বিচারকদের সিদ্ধান্তনুযায়ী আমরা পরের দিন জমি বাটভাটোরা করি। এ সময় বোনদের বিয়ের খরচ বাবত দেড় কেয়ার জমি ও বাবার মৃত্যুর সময় ব্যাংকে রেখে যাওয়া তাদের বিয়ের জন্য দেড় লক্ষ টাকা, মাসহ বোনদের অতিরিক্ত ২০ লক্ষ টাকা মুল্যের জমি বুঝাইয়া দেই। শুধু তাই নয় ৮ কিয়ার জমিতে ৮ ভাগ করেছি। এর মধ্যে আমরা ৬ ভাই ৬ ভাগ ও মা বোনদের ২ ভাগ দিয়েছি। তাছাড়া আমার ভাই আহমদ আবুল কালামকেও ১৪ লক্ষ টাকা মুল্যের অতিরিক্ত জমি দেই। এসব দেয়ার পরও আমার ভাই আবুল কালাম আজাদ সন্তোষ্ট হয়নি। সে সব জমি আত্মসাত করার লক্ষে আমার মাকে ভুল বুঝিয়ে আমরা ৩ ভাইর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করিয়েছে। আমি বিশ^াস করি সঠিক তদন্ত হলে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হবে। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, আমি ২২ বছর ধরে বিয়ের পর থেকে পরিবার থেকে পৃথক। যা ঠিক নয়। আমার বিয়ের পরই আমার ভাই দুলালকে সৌদি আরব নিয়েছি। আহমদ আবুল কালামকে লন্ডন পাঠিয়েছি। যদিও সে হিথ্রো থেকে ফিরে আসে। বাড়ীতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে দিয়েছি। বাবার মৃত্যুর পর আমিসহ আত্মীয়স্বজনরা শিরনীর জন্য ৬০ হাজার টাকা আমার ভাই আহমদ আবুল কালামের কাছে দেই। এই টাকা থেকেও সে ২০ হাজার টাকা আত্মসাত করে। পরে লালাপুরের আব্দুল হারিছের মাধ্যমে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বাবার শিরনী করি। আমি পৃথক হয়েছি ৯ বছর আগে। পৃথক হওয়ার আগে এবং পরে আমার বোনদের বিয়ের জন্য তার কাছে অনেক বার টাকা দিয়েছি। কিন্তু সে টাকা খরচ করে। বোনদের বিয়ে দিলে তার স্বার্থ শেষ হয়ে যাবে। তার জন্য বোনদের বিয়ে দিতে পারছিনা। বিয়ের আলাপ আসলে সে বর পক্ষকে ফিরিয়ে দেয়। আসলে আমার ভাই আহমদ আবুল কালাম একজন মামলাবাজ। খারাপ প্রকৃতির লোক। এলাকার অনেক লোককে সে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এখন আমাকেও হয়রানি করার চেষ্ঠা করছে। সে জামাত শিবিরের একজন প্রভাবশালী নেতা শারিরীকভাবেও শক্তিশালী হওয়ায় অন্যায় করলেও এলাকার কেউ প্রতিবাদ করেনা। কাজেই আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সব মিথ্যা। আমি প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

মো: আব্দুস সালাম
গ্রাম দিঘীরপাড়
ডাক ইনাতগঞ্জ,নবীগঞ্জ,হবিগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর