,

‘বিজয়ের প্রতিধ্বনি’ সম্পাদক রতন চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার ৫ কোটি টাকার মানহানী মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দৈনিক বিজয়ের প্রতিধ্বনি সম্পাদক আনিছুজ্জামান চৌধুরী রতনের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানী মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড তৌহিদুল ইসলামের আদালতে এ মামলাটি করেন চুনারুঘাট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান চৌধুরীর। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৪ জানুয়ারী আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর আনিছুজ্জামান চৌধুরীর সম্পাদনা ও প্রকাশনায় হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক বিজয়ের প্রতিধ্বনি’ পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠায় ‘চুনারুঘাট-মাধবপুর উপজেলা আ’লীগের কার্যকরী কমিটি সভার প্রতিবাদ প্রসঙ্গে’ শিরোনামে একটি প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত তথ্যে বলা হয় লুৎফুর রহমানে পিতা ১৯৭১ সালের পিচ কমিটির তালিকাভূক্ত সদস্য ছিলেন। এবং বিগত সংসদ নির্বাচনে এডভোকেট মাহবুব আলী চুনারুঘাট মাধবপুর আসনে নৌকা প্রতীকে দলী মনোনয়ন পাওয়ার  পর শায়েস্তাগঞ্জ গোল চত্তরে কালো ব্যাচ ধারণ করে উনার বিরুদ্ধে বেনার সহকারে মানববন্ধন করেছেন। লুৎফুর রহমান চৌধুরীসহ কয়েকজন টিআর কাবিটার জন্য টিআর ও কাবিটা লীগে পরিণত হয়েছেন। তিনি মামলায় উল্লেখ্য করেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী সংসদস্য নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন এবং কালো ব্যাচের মানববন্ধনে আমার উপস্থিতি ছিল না। অথচ দৈনিক বিজয়ের প্রতিধ্বনি পত্রিকা আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে আমার পিতা ও তার পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এতে তিনি রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। যার আনুমানিক তির পরিমাণ ৫ কোটি টাকা। এ ব্যাপারে দৈনিক বিজয়ের প্রতিধ্বনির সম্পাদক ও প্রকাশক আনিছুজ্জামান রতন বলেন, ‘দলীয় নেতাদের বাদ দিয়ে জামায়াত বিএনপির সাথে কাজ করছেন এমপি মাহবুব আলী’ এমন অভিযোগসহ বেশ কিছু অভিযোগ এনে গত ২৪ নভেম্বর সাতছাড়িতে এক সমাবেশ করে চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ নভেম্বর বিজয়ের প্রতিধ্বনি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। গত ২৫ নভেম্বর চুনারুঘাট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা এক সভায় এমপি মাহবুব আলীর বিরুদ্ধে সাতছড়ি ষড়যন্ত্রের নিন্দা জানান। ২৬ নভেম্বর বিজয়ের প্রতিধ্বনি পত্রিকায় এ নিয়েও একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এরই জের ধরে চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা পত্রিকায় প্রেরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে এ ব্যক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন আমি তাদের প্রেরিত প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পত্রিকায় প্রকাশ করেছি। অথচ তিনি প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তির উপর নির্ভর করে মামলা করেছেন। তিনি আরও বলেন প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিটি আরও একটি স্থানীয় পত্রিকাটি প্রকাশ করেছে। তিনি তিনি ওই পত্রিকাটি বাদ দিয়ে শুধু আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এতেই প্রমাণ হয় যে তিনি উদ্যেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন। রতন চৌধুরী বলেন যেহেতু তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। সেহেতু আমি অবশ্যই আদালতে উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখ্যা দেব।


     এই বিভাগের আরো খবর