,

বাহুবলের মিরপুরে শুষ্ক মৌসুমেও ৫০ বাসাবাড়ি-দোকান পানিবন্দি

নূরুল ইসলাম মনি ॥ বাহুবলের মিরপুর তেমুনীয়া সংলগ্ন স্থানে শুষ্ক মৌসুমেও অর্ধশত বাসা-বাড়ি ও দোকানপাঠ পানিবন্দি রয়েছে। ফলে ময়লা ও ঠান্ডা পানিতে পা ভিজিয়েই ক্রেতা-বিক্রেতাদের দোকানপাঠে ও বাসিন্দাদের বাসাবাড়িতে প্রবেশ করতে হচ্ছে। এ দুর্ভোগ লাঘবে বার বার জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দোয়ারে ধর্ণা দিয়ে ফল পাচ্ছেন না ভূক্তভোগীরা। বাহুবল উপজেলার বাণিজ্যিক এলাকা খ্যাত মিরপুর তেমুনীয়া একটি ব্যস্ততম  এলাকা। ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কের উত্তর ও তেমুনীয়ার পূর্ব পার্শ্বের অন্ততঃ অর্ধশত দোকানপাঠ ও বাসাবাড়ির সামনে ময়লাযুক্ত পানি থৈ থৈ করছে, ভাসছে কচুরিপানা। তাতে ফেলা হচ্ছে দোকানপাঠ, বাসাবাড়ি ও রেস্টুরেন্টের ময়লা-আবর্জনা। এ অবর্জনা পঁচে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা জানান, শান্তিবাগ হোটেল এবং রহমত আলী-জজ মিয়ার ৪ তলা ভবনে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত পানি ওইস্থানে জমা হচ্ছে। এতে শুষ্ক মৌসুমেও জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হচ্ছে না। ওই এলাকার মার্কেটের মালিক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান বলেন, দোকানপাঠ ও বাসাবাড়ির ও মহাসড়কের মাঝামাঝি স্থানে জমে থাকা পানির উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচল করছে। এতে মহাসড়ক ভেঙে ক্রমেই রাস্তা ছোট হচ্ছে। মাঝে মাঝে গাড়ির চাকার আঘাতে ছিটকে আসা পঁচা পানিতে পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পড়নের জামা-কাপড় নষ্ট হচ্ছে। মিরপুর বাজার চৌমুহনী ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজী সামছুল হক বলেন, ওই স্থানটিতে অপরিকল্পিত ভাবে দোকানপাঠ ও বাসাবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। মহাসড়কের পাশের এ স্থাপনাগুলোর সামনে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তিনি বলেন, পূর্ব দিকে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। পশ্চিম দিকে জুযনাল নদীতে পানি নিষ্কাশনের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু তাও অত্যন্ত দূরোহ। কারণ পশ্চিম দিকে দুই সারি দোকানপাঠ ও মিরপুর-বাহুবল রাস্তা রয়েছে। এ অবস্থায় উল্লেখিত দুর্ভোগ লাঘব জরুরী হলেও সহজ নয়। সমিতির পক্ষ থেকে আমি গতবছর অক্টোবর মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে এ ব্যাপারে আবেদন করেছিলাম। তাতে কোন কাজ না হওয়ায় গত ২৮ অক্টোবর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বরাবর একটি আবেদন করেছি। তিনি আরো বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত বিষয়ে হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) বরাবরে একটি ডিও লেটার প্রদান করেছেন হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি আব্দুল মুনিম চৌধুরী। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জসীম উদ্দিন বলেন, ওই স্থানে একটি কাচা ড্রেন খনন করার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ অনুমোদন দিয়েছি। আশা করি সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ড্রেন খনন হবে। ড্রেন খনন হলে ভুক্তভোগী দোকান ও বাসা মালিকরা নিজ খরচে পাকা ড্রেন তৈরি করবেন। ড্রেন তৈরি হলেও ওই স্থানে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর