,

মাধবপুর-চুনারুঘাট আসনে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করলেন সৈয়দ মুনীর

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ মুনীর। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তিনি হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন সৈয়দ মুনীর। তবে সেবার মনোনয়ন পাওয়া হয়নি তার। কিন্তু আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের মনোনয়ন লাভের জন্য আটঘাঁট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন তিনি। নিজের এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগের সাথে সাথে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাথে রাখছেন নিবিড় যোগাযোগ। ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন সৈয়দ মুনীর। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকির-বাছিত কমিটির সহ-সম্পাদক ও পরে কবির-মাসুম কমিটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ মুনীর। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর শাবির হল থেকে ছাত্রলীগকে বের করে দেয় ছাত্রদল। ওই সময় ক্যাম্পাসে সহবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সৈয়দ মুনীরের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার সাথে সাাৎ করেন। এছাড়া ১৯৯৯ সালে শেখ হাসিনা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগ এবং শাবি ছাত্রলীগকে ঢাকায় ডাকেন। ওই সময়ও শাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে শেখ হাসিনার সাথে সাাৎ করেন সৈয়দ মুনীর। সৈয়দ মুনির বলেন, চুনারুঘাট-মাধবপুর উপজেলা চা শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা। স্বাধীনতার পর থেকে এ আসনে নৌকার বিজয় হয়েছে চা শ্রমিকদের ভোটেই। আর তিনি চা কোম্পানীর এমডি ও টি প্ল্যান্টার্স এন্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে চা শ্রমিকদের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকার সার্বিক উন্নয়নেও তিনি কাজ করছেন। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাওয়ার পর নেত্রী তাকে এলাকায় কাজ করে যেতে বলেন। এরপর থেকে তিনি চুনারুঘাট-মাধবপুর এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন। চা শ্রমিক অধ্যুষিত এ নির্বাচনী এলাকায় চা শ্রমিকদের নিজেদের মানুষ ও তরুণ প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রধান তাকে মনোনয়ন দিবেন বলে তিনি আশাবাদী। এছাড়া দলের ক্রান্তিলগ্নে বিশ^বিদ্যালয়ের হাল ধরা ছাত্রনেতা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বিষয়টি আন্তরিকভাবে দেখবেন বলে তিনি বিশ^াস করেন। সৈয়দ মুনির শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি শিক্ষা ও জনবিষয়ক বিষয়ে অনার্স এবং রাজনীতি শিক্ষা ও লোকপ্রশাসনে মাস্টার্স করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ইন্টারপ্রিনিয়ারশিপ ডেভলাপমেন্ট এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কোর্স এবং ইউকের ওয়ার উইক ইউনিভার্সিটি থেকে এডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্ম এন্ড চেইঞ্জ বিষয়ে গবেষণা সম্পন্ন করেন। তিনি বর্তমানে পাহাড়ি টি কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও টি প্ল্যান্টার্স এন্ড টেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র যুগ্ম আহবায়ক, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর