,

বাহুবলের ফয়জাবাদ বধ্যভূমিকে নতুনরূপে সাজানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন ইউএনও জসীম উদ্দিন

নূরুল ইসলাম মনি ॥  বাহুবলের ফয়জাবাদ বধ্যভূমিকে নতুনরূপে সাজানোর উদ্যোগ নিচ্ছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জসীম উদ্দিন। তিনি গতকাল বধ্যভূমি  পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, ফয়জাবাদ বধ্যভূমি এ অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের একটি সাক্ষী। এখানে হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মিত ভাবে নিহত মুক্তিকামী শতশত মানুষের মরদেহ গণকবর দেয়া হয়েছে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে এ বধ্যভূমির উন্নয়ন আমার দায়িত্ব। আমি অচিরেই এ স্থানটির উন্নয়ন কাজ শুরু করতে চাই। এ লক্ষ্যে আমি পরিকল্পনা তৈরি করেছি। বধ্যভূমি পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. আবুল হোসেন, বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী, বাহুবল মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি নূরুল ইসলাম নূর, কামাইছড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মরম আলী প্রমুখ। আগামী ১৪ ডিসেম্বর উক্ত বধ্যভূমিতে পুস্পস্তবক অর্পন, প্রদীপ প্রজ্জ্বল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জানা যায়, ১৯৭১ সনে স্বাধিতা সংগ্রামের রক্তঝড়া উত্তার সময়ে পাক বাহিনীর একটি ক্যাম্প ছিল পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে। ওই ক্যাম্পটি এখানকার ‘টর্চারসেল’ হিসেবে অনেকের কাছে পরিচিত। এ ক্যাম্পে অবস্থানরত পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা বাহুবল উপজেলা ও আশপাশের এলাকার মুক্তিকামী নারী, পুরুষ ও শিশুদের স্থানীয় রাজাকার, আল-বদর ও শান্তি কমিটির সদস্যদের সহায়তায় ধরে নিয়ে যেত। ধৃত ওইসব নিরিহ মানুষদের সেখানে অত্যাচার নির্যাতনের পর নির্মম হত্যাকান্ড সংঘটিত করে মরদেহগুলো বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ফয়জাবাদ হিল্স-এর একটি নির্জন স্থানে গণকবর দিয়ে রাখতো হানাদার বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড সংলগ্ন স্থানের ওই গণকবরটি থেকে অনেকগুলো মানবকঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। ওই স্থানটিকেই ‘বধ্যভূমি’ হিসেবে চিহ্ন করে একটি স্মৃতিস্থম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর