,

SAMSUNG CAMERA PICTURES

বাহুবলে সড়কের বালু স্তুপের কারণে ১৬ ঘন্টার ব্যবধানে দূর্ঘটনায় ২ জন নিহত

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলার মিরপুর-কামাইছড়া সড়কের বালু স্থপের কারণে ১৬ ঘন্টার ব্যবধানে দূর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১  জন। স্থানীয় লোকজন জানান, কামাইছড়া পাহাড় থেকে প্রতিদিনই একদল বালুখেকো বালু উত্তোলন করে পাচার করছে। তারা ওই সড়কের দুইপাশে বালু স্থপ করে রাখে। ফলে এখানে প্রতিদিনই কোন না কোন দূর্ঘটনা ঘটছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে মিরপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা (মৌলভীবাজার থ-১১-৬২১১) যাত্রী নিয়ে সাতগাঁও যাচ্ছিল। কামাইছড়া মোড়ে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা বালু বোঝাই ডায়না (ঢাকা মেট্রো-গ-১৪-৭৮৮৩) এর সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার তানাবাড়ি গ্রামের বকুল শিকদারের স্ত্রী স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের সহকারি শিক্ষিকা চম্পা আক্তার (২৮) নিহত হন। এ সময় ৪ জন আহত হন। আহত কামাইছড়া গ্রামের মুসলিম উদ্দিনের পুত্র সাজিদুল (৩৫), হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পুকড়া গ্রামের সামছু মিয়ার পুত্র সাইদুর (৩০) কে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সূত্র জানায়, ওই এলাকার আমিন ও কবির মিয়া নামের দুই ব্যক্তি কামাইছড়া বাগানের ছড়া থেকে বালু উত্তোলন করে ট্রাক ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্নস্থানে পাচার করছে। আর তারাই সড়কের পাশে বালু স্থপ করে রাখে। ফলে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে ওই স্থানে সিএনজি-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চিচিরকোর্ট গ্রামের হাসন আলীর পুত্র রুহেল মিয়া (২৪) নিহত হয়। আহত হয় ৩ জন। তাদেরকেও ঢাকা প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে বাহুবল থানার ওসি মাসুক আলীর নেতৃত্বে এসআই মরম আলীসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাক ও সিএনজি উদ্ধার করে নিকটস্থ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে জনতা অবরোধ তুলে নেয়। উভয় চালক ঘটনার পর পলাতক রয়েছে। নিহত চম্পা সাতঁগাওয়ে তার পিত্রালয়ে যাচ্ছিলেন।


     এই বিভাগের আরো খবর