,

বানিয়াচংয়ে বিয়ে করতে গিয়ে এক বরযাত্রী বন্ধুসহ ধরাশায়ী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলা সদরের জাতুকর্ণপাড়ায় বিয়ে করতে গিয়ে এক যুবক বরযাত্রী বন্ধুসহ ধরাশায়ী হয়েছে। ৩ দিন ওই বাড়িতে আটক থাকার পর অবশেষে রফাদফার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়। পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের ২নং পুল এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়ার পুত্র বিয়ে পাগল সাইদুল ইসলাম মাসুম (২৮) নামের এক যুবক জাতুকর্ণপাড়ার বাসিন্দা দিলোয়ার হোসেনের কন্যাকে বিয়ের জন্য গত শনিবার দুপুরে দিন তারিখ ধার্য্য করা হয়। ওই দিন দুপুরে মাসুম তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ওই বাড়িতে যায়। এক পর্যায়ে কাজীও সেখানে আসে। বিয়ের কিছুণ আগে পার্শ্ববর্তী পাড়াগাও গ্রামের সুমাইয়া আক্তার লিজা নামের এক যুবতী বিয়ে বাড়ি উপস্থিত হয়। এ সময় সে সকলকে জানায়, মাসুম তার স্বামী। দুই বছর আগে মাসুম তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। বিষয়টি জানাজানি হলে মেম্বার আব্দুস সালাম ও সাহেদ আলী ছুটে আসেন। এ সময় মাসুম লিজার সাথে সম্পর্ক অস্বীকার করে। তারা লিজার কাছে প্রমাণ চাইলে লিজা বিয়ের কাগজপত্র দেখায়। এরপর দুই বরযাত্রী বন্ধুসহ মাসুমকে গণধোলাই দিয়ে আটক করে রাখা হয়। পরবর্তীতে মাসুমের পে হবিগঞ্জ শহর থেকে মুর”ব্বী গেলে উভয়ের সম্মতিক্রমে সাবেক স্ত্রী লিজাকে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তালাক প্রদান করা হয় এবং দিলোয়ার হোসেনের কন্যাকে ৮ লাখ টাকার কাবিনে বিয়ে দেয়া হয় মাসুমের নিকট। নগদ দেয়া হয় ৬০ হাজার টাকা। গতকাল রবিবার সন্ধ্যার পর এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। সূত্র জানায়, মাসুম তার আগের বিয়ে গোপন করে অভিভাবক ছাড়াই দিলোয়ার হোসেনের কন্যার সাথে বিয়ে ঠিক করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৩নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, মেম্বার সাহেদ আলী ও আব্দুস সালাম। এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার এসআই নাজমুল হাসান জানান, বিষয়টি জনপ্রতিনিধিরা আমাকে জানিয়েছেন। যেহেতু সমাধান হয়েছে সেহেতু আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর