,

হবিগঞ্জের ৪টি আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে হবে এমপি আবু জাহির ॥ জেলা আওয়ামীলীগের বিশাল বিজয় র‌্যালি

 স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, বিজয় দিবস ও আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ। প্রতি বছর সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জেও বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য রালিসহ ব্যাপক কর্মসূচির আয়োজন করা হয় আওয়ামী লীগের ব্যানারে। কিন্তু অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মাঝে এই বিজয় দিবস উদযাপনে কোনো র‌্যালির আয়োজন তো দূরে থাক, বড় কোনো কর্মসূচিই থাকে না। বিশেষ করে বিএনপি এ উপলক্ষে বড় কোনো কর্মসূচি আয়োজন করেছে কি না হবিগঞ্জবাসী
বলতে পারবে না। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পৌঁছে দিতে বিশাল বিজয় র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে। যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাহাড়-হাওর ডিঙ্গিয়ে রণাঙ্গণে যুদ্ধ করেছেন। বৃদ্ধ বয়সে এসে সেই চেতনাকে ধারণ করে সমগ্র শহর প্রদক্ষিণ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। নারীরাও পিছিয়ে থাকেননি। দলের নবীন-প্রবীণ সকল নেতাকর্মীরা স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করে আবারো প্রমাণ করলেন হবিগঞ্জ জেলা শুধু মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকাই রাখেনি, এখনও তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করেন। আর মুক্তিযুদ্ধের এই চারণভূমিতে জনগণ বারবার নৌকাকে বিজয়ী করছেন। সরকারও এর প্রতিদান হিসেবে হবিগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছে। এই উন্নয়নের প্রতিদান হিসেবে আগামী নির্বাচনে হবিগঞ্জবাসী ৪টি আসনই শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চান। এর প্রমাণ এই বিজয় র‌্যালি। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল দুপুরে প্রায় ২০ হাজার লোকের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শেষে স্থানীয় শিড়িষতলায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির। তিনি আরো বলেন, হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াকে হত্যার মাধ্যমে দুর্বৃত্তরা হবিগঞ্জকে কলংকিত করেছে। বাঙালি জাতির অহংকার দেশরতœ শেখ হাসিনাকে অসংখ্যবার হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি-জামায়াত। আমরা  সফল প্রধানমন্ত্রী  জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হারাতে চাই না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে এবং পরবর্তীতে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করব ইনশাল্লাহ। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্ত্বা বলয়ের মাধ্যমে দেশের সকল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করা হচ্ছে। বিশেষ করে রাত পোহালেই যখন, বছরের শুরু হবে সেই দিনে দেশের সকল শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে। এই কাজই প্রমাণ করে শেখ হাসিনার লক্ষ্য পূরণে কোনো বাধাই তাকে আটকাতে পারবে না। এমপি আবু জাহির আরো বলেন, দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হয় তার পইে সকলে মিলে কাজ করা দলের আদর্শ এবং শিক্ষা। যারা দলের মনোনয়ন দেয়া প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে বিরোধিতা করেন, যারা নৌকার বিপক্ষে কথা বলে তারা কখনো আওয়ামী পরিবারের লোক হতে পারে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিবেন তার পইে প্রত্যেক নেতাকর্মীকে কাজ করতে হবে। হবিগঞ্জে মেডিকেল কলেজ, ভলভদ্র সেতু, আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতাল, জুডিসিয়াল ভবন, আধুনিক স্টেডিয়াম, সরকারি বৃন্দাবন কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু, বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ডাবল শিফট চালুসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ হবিগঞ্জের ৪টি আসন দেশরতœ শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। সবার কাছে সরকারের উন্নয়নের কথা প্রচার করতে হবে। জনগণের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। সেজন্য বিজয় দিবসের শেষ দিনে সকল নেতাকর্মীকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি। এমপি আবু জাহির বলেন, প্রতি বছরই শোকের মাস আগস্ট এবং বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ মাসব্যাপি কর্মসূচি ঘোষণা করে। আওয়ামী লীগ ও এর সকল সহযোগী সংগঠন আন্তরিকভাবে প্রতিদিনই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। যে চেতনা নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে তা বুকে লালন করে নতুন বছরেও দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। এই বিজয়ের মাসে শায়েস্তাগঞ্জের দু’টি ইউনিয়নে দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে নৌকার বিজয়ের জন্য ঝাপিয়ে পড়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন, সেই বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়নের প্রত্যাশা থাকে অনেকেরই। কিন্তু দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয় তার জন্যই লড়াই করতে হবে। এটা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষা। হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান বলেন, আওয়ামী লীগের এই বিজয় র‌্যালি আবারো প্রমাণ করেছে হবিগঞ্জ নৌকার ঘাটি। নৌকার বিজয় হয়ে দেশের দরিদ্র ও মেহনতী মানুষের উন্নতি হয়। প্রত্যন্ত এলাকায় উন্নয়নের ছোয়া লাগে। বর্তমান সরকার হবিগঞ্জ জেলায় যে উন্নয়ন কাজ করেছে অতীতে কোনো সরকার সেই কাজ করতে পারেনি। বিশেষ করে হাওর এলাকায় শতশত কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করায় এখন অবহেলিত হাওর এলাকা সমবৃদ্ধিতে ভরে ওঠেছে। আওয়ামী লীগের এই উন্নয়নের কথা প্রতিটি নেতাকর্মী যদি জনগণকে না জানায়, তাহলে যারা অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা আবারো আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফালানোর চেষ্টা করবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র হতে পারে। অতীতেও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে বিভিন্ন সময় অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করে সফল হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ হাতে সবকিছু মোকাবেলা করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন। এই সুনাম জাতে বিনষ্ট না হয়, তার জন্য আওয়ামী লীগকে আরো সুসংগঠিত হতে হবে। তিনি বিজয় র‌্যালি সফল করার জন্য সকল নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আইন-শৃংখলা রক্ষাবাহিনীসহ যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে এই বিশাল র‌্যালি শহর প্রদক্ষিণকালে অনেকেরই ভোগান্তি হয়েছে। তবে বিজয়ের আনন্দে একদিনের ভোগান্তিকে বড় কিছু মনে না করা উচিত। কারণ বিজয় দিবস যদি আমরা না পেতাম, তাহলে আজকে বাংলাদেশ এই পর্যায়ে আসতো না। আমাদের জনগণের ভাগ্য হয়ে পড়তো অনিশ্চিত। ডিসেম্বর মাসের শেষ দিনে প্রতি বছরই এই বিজয় র‌্যালির আয়োজন করে থাকে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। তবে এবারের আয়োজন অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করে। বিজয় র‌্যালিকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন যাবত হবিগঞ্জে ছিল সাজ সাজ রব। ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা সকলের দৃষ্টি ছিল এই বিজয় র‌্যালির দিকে। গতকাল রবিবার সকালে সকলেই যখন শীতের পোশাক নিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন সূর্যের আলোয় আলোকিত ছিল পুরো শহর। ঘড়ির কাটায় যখন সকাল ১০টা, তখন সেই আলো বেড়ে যায় বহুগুণ। হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ র‌্যালি শুরু করার জন্য স্থান নির্ধারণ করে হবিগঞ্জ পৌরসভা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি যখন বুঝতে পাড়লেন জনগণের মাঝে ব্যপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এই র‌্যালি নিয়ে। পৌরসভা প্রাঙ্গণে জায়গা হবে না, এত লোকের। তখন তিনি কেন্দ্রীয় ঈদগাহকে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের জমায়েতের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেন। আওয়ামী লীগের অন্যান্য ইউনিট শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জমায়েত হতে থাকে সকাল থেকেই। সরকারি বৃন্দাবন কলেজ, বেবীস্ট্যান্ড, কোর্ট মসজিদ মোড়, জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ, ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকা ও আদালত প্রাঙ্গণে বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতকর্মীরা যখন সমবেত হতে থাকে, তখন শহরবাসীর একটাই প্রশ্ন কি হচ্ছে আজ হবিগঞ্জ শহরে। পৌরসভা প্রাঙ্গণে মাইকে যখন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাজছিল, তখন সকলেই বুঝে ফেলেন আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি হবে আজ। ঘড়ির কাটায় বারোটা বাজার সাথে সাথেই বীর মুক্তিযোদ্ধারা সুসজ্জিত হয়ে হাতে জাতীয় পতাকা এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা নিয়ে উপস্থিত হন পৌরসভার সামনে। তাদের সামনে ছিল বৈঠা নিয়ে সুন্দর একটি প্রদর্শনী। বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মান জানিয়ে সকলের সামনে স্থান দেয়া হয়। আরো ছিল আকর্ষণীয় বাদ্যদল। তারপর জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে সকল নেতারা দাঁড়িয়ে যান রাস্তায়। এরপর ছিল হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠন। মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই ছিলেন পৌরসভা প্রাঙ্গণে। আওয়ামী ঘরানার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন শিল্পীসহ যোগ দেয় র‌্যালিতে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে ছিল বুবুজেলা বাঁশি। প্রতিটি সংগঠনের ব্যানার সাজানো হয় জাতীয় পতাকার রঙ লাল-সবুজ দিয়ে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির যখন ঘোষণা দেন, র‌্যালি শুরু করার জন্য, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ থেকে সবচেয়ে বড় দলটি অগ্রসর হতে থাকে পৌরসভার সামনে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রায় অর্ধশত গাড়ি নিয়ে নেতাকর্মীদের সমবেত করেছিল সেখানে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সকল মিছিল এসে পৌরসভা প্রাঙ্গণে সমবেত হওয়ার পর শুরু হয় আকর্ষণীয় এই র‌্যালি। মুক্তিযুদ্ধের এবং আওয়ামী লীগের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে সামনে এগুতে থাকে এই র‌্যালি। এক পর্যায়ে নৌকা নৌকা শ্লোগানে পুরো শহর কম্পমান হয়ে যায়। শহরের বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালত থেকে লোকজন রাস্তার পাশে এসে ভীড় করেন এই র‌্যালি দেখার জন্য। র‌্যালির দীর্ঘ পথ পরিভ্রমণে একটুও কান্তি ছিল না অংশগ্রহণকারীদের মাঝে। র‌্যালি দেখতে আসা লোকজন এই র‌্যালি দেখে মন্তব্য করেন, দেখাইয়া দিছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের স্মরণকালের সেরা এই র‌্যালিতে যে সকল নেতা অংশগ্রহণ করেন তারা হলেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি ও পিপি এডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী, সহ-সভাপতি আরব আলী, মোঃ আলী টিপু, শরীফ উল্লাহ, এডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, মুকুল আচার্য্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদার, সহ-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম, মশিউর রহমান শামীম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অনুপ কুমার দেব মনা, মোঃ আলমগীর খান, এডভোকেট ক্ষিতিশ গোপ, উপ প্রচার সম্পাদক এডভোকেট এমএ মোছাব্বির বকুল, উপ দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান, সদস্য এডভোকেট সুমঙ্গল দাশ সুমন, এডভোকেট সুলতান মাহমুদ, এডভোকেট আফজল আলী দুদু, এডভোকেট কনক জ্যোতি সেন রাজু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জমিলা বেগম, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, সাধারণ সম্পাদক মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সৈয়দ কামরুল হাসান, কৃষক লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবীর রেজা, যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শামীম, তাতীলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ডাঃ ইশতিয়াক রাজ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মুকিদুল ইসলাম মুকিদ। জেলা আওয়ামী লীগ ছাড়াও যে সকল সংগঠন র‌্যালিতে অংশ নেয় সেগুলো হলো মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন ইউনিয়ন ইউনিট, জেলা যুবলীগ ও পৌর যুবলীগ, জেলা, পৌর ও সরকারি বৃন্দাবন কলেজ ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাতীলীগ, মৎস্যজীবী লীগ, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ওলামা লীগ ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।


     এই বিভাগের আরো খবর