,

নবীগঞ্জে সাংবাদিক রাকিলের বাড়ীতে হামলার ঘটনায় ১১ জনকে আসামী করে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ালীগ নেতা ও সাংবাদিকের বাড়িতে গত বুধবার বিকালে হামলার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ১১ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামী ধরার জন্য রাতেই অভিযান চালায় তবে কোন আসামীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আহত  মইনুদ্দিন (৬০), পাবেল মিয়া (২২) কে নবীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। রাতে নবীগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলায় লন্ডন প্রবাসী দিলবার হোসেন, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নুর আলী ও ইনাতগঞ্জ বিএনপি সহ-সভাপতি শাহীন আহমদসহ ১১ জনকে আসামী করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে গং রাখা হয়েছে। সাংবাদিক রাকিল হোসেনের চাচাতো ভাই শামীনুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৩  জানুয়ারী, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের প্রজাতপুর গ্রামের রাস্তা উন্নয়নের জন্য লন্ডন প্রবাসী দিলবার হোসেনের বাড়ীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত বুধবার বেলা ১১টার সময় এমপি কেয়া চৌধুুরী পথিমধ্যে এসে খোঁজ নিয়ে দেখেন, উক্ত অনুষ্ঠানে ইনাতগঞ্জ আওয়ামীলীগের কোন নেতাকর্মী সম্পৃক্ত নেই। তাই এমপি কেয়া চৌধুরী ওই অনুষ্ঠানে না গিয়ে পথিমধ্যে থেকে চলে যান। এ নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজকরা দায়ী করেন, স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংবাদিক রাকিল হোসেনকে। এর জের ধরেই বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক রাকিলের বাড়িতে হামলা চালায়। মামলা বিবরণে আরো বলা হয়, এ সময় আসামীরা সাংবাদিক রাকিল হোসেনের ঘরে হামলা করে ভাংচুর করে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে ও আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ১০ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্নালংকার যার বাজার মূল্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, বাদী শামীনুরের ঘরে ভাংচুর করে ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন, আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ২২ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ইনাতগঞ্জ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, দৈনিক সিলেটের ডাক এর নবীগঞ্জ প্রতিনিধি রাকিল হোসেন জানান, বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও মহিলাসহ ৭/৮ জন আহত হয়েছেন। তিনি আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন আমার সাথে দিলবার হোসেনের কোন বিরোধ নেই এ অনুষ্ঠান নিয়েই হামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আতাউর রহমান জানান, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা রাতে ঝটিকা অভিযান দিয়ে কোন আসামী পাই নাই। অভিযান অব্যাহত রয়েছে আসামীদের ধরার চেষ্টা চলছে। হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধায় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিল হোসেনের বাড়ীতে ছুটে যান নবীগঞ্জ বাহুবল আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মন্ত্রী আলহাজ¦ দেওয়ান ফরিদ গাজীর পুত্র হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী, নবীগঞ্জ উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী। তারা নেক্কারজনক এ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। এ ব্যাপারে এমপি কেয়া চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন প্রজাতপুর গ্রামে আমার কোন অনুষ্ঠান ছিলনা। আমাকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার প্রশ্নই আসে না।


     এই বিভাগের আরো খবর