,

সম্মানিত হলেন ১৮২ পুলিশ সদস্য হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত হলেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা পিপিএম “প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক” এ ভূষিত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন। সকাল ১০টায় তিনি রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পৌঁছান। পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনের পর সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সাহসিকতা প্রদর্শন ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮২ জন পুলিশ সদস্যকে সম্মানিত করেন তিনি। এর মধ্যে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা পিপিএম “প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক” এ ভূষিত হন। উল্লেখ্য, হবিগঞ্জে যোগদানের পূর্বে ২০১৭ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন বিধান ত্রিপুরা। এ সময় তিনি উত্তরা বিভাগের তুরাগ থানা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনায় জঙ্গী অভিযান পরিচালনা এবং এয়ারপোর্ট পুলিশ চেক পোষ্টে জঙ্গীদের প্রতিরোধের মাধ্যমে ১৫ কেজি ওজনের বিস্ফোরক উদ্ধারের মাধ্যমে কেপিআই অন্তর্ভূক্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দেশী-বিদেশেী ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ বিচক্ষনতার সহিত উত্তরা বিভাগে শান্তি-শৃংখলা রক্ষার মাধ্যমে জনসাধারনের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জানমাল সুরক্ষা করেন। এ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিধান ত্রিপুরাকে  প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক” এ ভূষিত করা হয়। বিধান ত্রিপুরা ১৯৭৪ সালে খাগড়াছড়ি জেলার পানখাইয়াপাড়ার সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা স্বর্গীয় কৃষ্ণ মোহন ত্রিপুরা একজন সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী ছিলেন এবং মাতা বীণা রানী ত্রিপুরা ২০১১ সালে আজাদ প্রোডাকস্ লিমিটেড কর্তৃক রতœগর্ভা হিসেবে ভূষিত হন। তিনি ইতিপূর্বে মানিকগঞ্জ জেলায় কর্মরত থাকাকালে ২০১৪ সালে “আইজিপি ব্যাচ”, ২০১৫ সালে “পিপিএম-সেবা” এবং ২০১৭ সালে ডিসি উত্তরা হিসেবে কর্মরত থাকাকালে “আইজিপি ব্যাচ” প্রাপ্ত হন। এছাড়া ২০১৬ সালে রোটারী ক্লাব ও বিশ্ব ইতিহাস গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক পুলিশ সুপার হিসেবে আইন-শৃংখলা রক্ষায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখায় শ্রেষ্ট “পুলিশ সুপার” হিসেবে পুরষ্কৃত হন। তাঁর এক ভাই ইঞ্জিনিয়ার (এলজিআরডি), অপর ভাই ব্যবসায়ী ও অন্যান্য ভাই-বোন’রা সরকারী কর্মকর্তা। তাঁর সহধর্মিনী ডাঃ ডেইজি ত্রিপুরা একজন ডাক্তার। তিনি ইষ্ট-ওয়েষ্ট মেডিকেল কলেজ উত্তরায় কর্মরত। তাঁর ভগ্নীপতি নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বর্তমানে পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সচিব। তিনি পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। বিধান ত্রিপুরা পিপিএম তার সাফল্যের জন্য সহযোগীতা করায় ধন্যবাদ জানিয়ে সকলের নিকট দোয়া ও আর্শিবাদ কামনা করেন। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ ২০১৮। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন। সকাল ১০টায় তিনি রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পৌঁছান। পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনের পর সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সাহসিকতা প্রদর্শন ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮২ জন পুলিশ সদস্যকে সম্মানিত করেন তিনি। এর মধ্যে ৩০ পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)”, ৭১ জনকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)” এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) সেবা” এবং ৫৩ জনকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) সেবা” প্রদান করা হয়। জঙ্গি ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় শহীদ লেঃ কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, ইন্সপেক্টর মরহুম চৌধুরী মোঃ আবু কয়ছর এবং ইন্সপেক্টর মরহুম মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে বিপিএম-মরণোত্তর পদক প্রদান করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর