,

নবীগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মুছা গুরুতর আহত

ছনি চৌধুরী ॥ নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহান আহমদ মুছা (২৩) সহ তার পরিবারের ৪ সদস্য গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হামলায় গুরুতর  আহত হয়েছে। তাদেরকে আশংকাজনক ভাবে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শহরতলীর সালামত পুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। জানাযায়, নবীগঞ্জ পৌরসভার সালামত পুর গ্রামের খুর্শেদ মিয়ার পুত্র হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী সোহান আহমদ মুছা (২৩) ও তার ছোট ভাই মনসুর আহমদ (২০) পূর্ব থেকে তার আপন চাচা নিজাম উদ্দিন, হারুন মিয়া, দুলাল মিয়াসহ ৫ ফুফুর সাথে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার মুছা ও তার ভাই জোর পুর্বক তাদের চাচাদের একটি মৎস্য খামার দখল করে জোর পুর্বক মাছ ধরার সময় এ হামলার ঘটনা সংঘঠিত হয়। দুপুরে মাছ ধরার সময় মুছার তিন চাচা ও ফুফুরা মিলে রামদা, দা বটিসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় এলোপাতারি দায়ের কুপে মুছা মাটিতে লুটে পড়লে তাকে রক্ষা করতে আসেন তার মা শামসুন্নাহার (৫০), ছোট ভাই মনসুর আহমদ (২০) ছোট বোন তান্নি বেগম (১৭) তারাও এ সময় গুরুতর আহত হন। রামদার কুপে মুছার মায়ের এক হাত প্রায় বিছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। মুছার বোন ছোট বোন তান্নি ছাড়া তাদের সবাইকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি এস.এম আতাউর রহমান বলেন, আমরা মুছার বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর