,

দ্বিগাম্বর দাখিল মাদরাসার সুপার রফিকুল ইসলাম জাফরীর দুর্নীতি তদন্তে অভিযোগ

সংবাদদাতা ॥ বাহুবল উপজেলার সিদ্দিকীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা রফিকুল ইসলাম জাফরীর সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে প্রমান পেয়ে তার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে  না বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত, ব্যাংক চেকের স্বাক্ষর জালিয়াতি, কমিটির অনুমোদন না নিয়ে দীর্ঘ অনুপস্থিত থেকে বিগত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করা, মাদরাসার টাকা আত্মসাত, আয় ব্যয়ে গড়মিল, মাদরাসার সরকারি ৬শ কেজি বই বিক্রি করে টাকা আত্মসাত, শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন ব্যবহার ইত্যাদি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। বিগত ৩ বছরেরও অধিক সময় ধরেই দুর্নীতির মাধ্যমে মাদরাসার পরিচালনা করে আসছেন বলে অভিযোহ রয়েছে সুপার জাফরীর বিরুদ্ধে। এছাড়া ২০১৬ সালে কমিটির তদন্তে দুর্নীতির প্রতিবেদন সভাপতি মুদ্দত আলীর নিকট জমা দেয়া সত্বেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তার দুর্নীতির মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় জাফরীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলে সেই সংবাদের সত্যতাও কমিটির তদন্তে উঠে এসে। জাফরীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে মাদরাসার শিক্ষার্থী ইউসুফ আলী ২০১৬ সালেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বা আবেদনকারীকে কোন তথ্য অবগত করাও হয়নি। ফলে ৭/৮/২০১৭ইং তারিখে ওই আবেদনের কপি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে গেলে ইউএনও মোঃ জসিম উদ্দিন দ্রুত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নিকট (স্মারক নং ৪৪৮, ৭/৮/২০১৭) প্রেরণ করেন। কিন্তু বিগত ৫ মাসেও কোন তদন্ত রিপোর্ট জমা দেননি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। মাদরাসার তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন মাওলানা কাজী জাহাঙ্গীর আলম, ইয়াকুব উল্লাহ মহালদার ও মোঃ মছদ্দর আলী। এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী শাহ ওয়াহিদুর রহমান নিপু বলেন- মাদরাসার একজন মাওলানা দুর্নীতি করবেন তা ভাবতেও অবাক লাগে!! তার শাস্তি হওয়া উচিত। দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাকে আর রাখা উচিত না। এদিকে জাফরীর বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই মানববন্ধনসহ সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর