,

হবিগঞ্জে নকল পিতা সেজে জর্দান প্রবাসি শ্রমিকের মৃতদেহ দাফনের অভিযোগ

 জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লুকড়া ইউনিয়নের বামকান্দি গ্রামে নকল পিতা সেজে নাজমা আক্তার (২৫) নামে জর্দান প্রবাসি শ্রমিকের মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আসল ও নকলের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ওই ঘটনায় সংঘর্ষেরও আশংকা করা হচ্ছে। লাশের সাথে আসা মূল্যবান কাপড় ছোপড় ও টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোকজন জানান, লুকড়া গ্রামের কুদরত আলীর কন্যা নাজমা আক্তার জীবিকার তাগিদে ৪ বছর আগে জর্দান যায়। সম্প্রতি সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ খবর গ্রামের বাড়ি পৌছলে একটি প্রতারক চক্র জানতে পারে নাজমা যে কোম্পানীতে চাকুরী করতো ক্ষতিপূরণ বাবদ সেখান থেকে মোটা অংকের টাকা দেয়া হবে। এর প্রেক্ষিতে নকল পিতা সেজে বামকান্দি গ্রামের জিতু মিয়া তার ওয়ার্ড মেম্বারকে দিয়ে ভূয়া জন্ম নিববন্ধন তৈরি করে গত শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে মেম্বারকে নিয়ে নাজমার লাশ বাড়ি নিয়ে আসেন। লাশের সাথে আসা মূল্যবান স্বর্ণালংকারসহ নগদ ৩০ হাজার টাকা জিতু মিয়া নিয়ে আসেন এবং তড়িগড়ি করে লাশ দাফনের পায়তারা করেন। খবর পেয়ে কুদরত আলী নামের এক ব্যক্তি নাজমার আসল পিতা দাবি করে জিতু মিয়ার বাড়ি যান। সেখানে যাওয়ার পর জিতু মিয়া ও তার লোকজন নাজমার লাশ না দেখিয়ে মারধোর করে কুদরত আলীকে তাড়িয়ে দেয়। পরে লাশটি তড়িগড়ি করে দাফন করা হয়। লুকড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের স্ত্রী সাহেদা খাতুন ও কালন বিবি জানান, নাজমার লাশ ধোয়ার সময় তার পেট থেকে মাথা পর্যন্ত সেলাইয়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এতে ধারণা করা হয় লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এদিকে এ লাশ নিয়ে দুই ব্যক্তির মধ্যে পিতৃত্বের দাবি নিয়ে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কুদরত আলীর ওয়ার্ডের মেম্বার জাহির মিয়া জানান, নাজমার প্রকৃত পিতা কুদরত আলী। ক্ষতিপূরণ বাবদ জর্দান থেকে মোটা অংকের টাকা বাংলাদেশে এসেছে এর প্রাপ্য অধিকার কুদরত আলীর। জিতু মিয়ার নয়। একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি মৃত নাজমার মা জাহানারা বেগমের সাথে কুদরত আলীর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে সে বামকান্দি গ্রামের জিতু মিয়াকে বিয়ে করে। এখন কে আসল কে নকল কে জানে। এ টাকা নিয়ে যেকোন সময় দুই ব্যক্তির লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ হতে পারে।


     এই বিভাগের আরো খবর