,

আবু জাহির এমপি’র আরেকটি বড় সফলতা সরকারি হলো লাখাই মুক্তিযোদ্ধা কলেজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বছর শুরুর আমেজ শেষ হতে না হতেই নতুন বছরের বড় উপহার পেলো লাখাই উপজেলাবাসী। হবিগঞ্জ সদর-লাখাই আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এর প্রচেষ্টায় উপজেলাবাসীর বহুদিনের স্বপ্ন লাখাই মুক্তিযোদ্ধা কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর লাখাইয়ের সর্বত্র উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এমপি আবু জাহিরের সফলতার পালকে যুক্ত হয়েছে আরেকটি নতুন পালক। গতকাল সন্ধ্যায় আবু জাহির এমপি’র বাসভবনে লাখাই উপজেলার সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ এসে তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। শুধু নেতৃবৃন্দ নয় এসেছিলেন কলেজের শিক্ষকরাও। এই আনন্দে আত্মহারা কলেজের শিক্ষার্থীরা আজ উপজেলায় বিশাল শোভাযাত্রা বের করবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ এমপি আবু জাহিরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার লাখাই মুক্তিযোদ্ধা কলেজসহ দেশের ৪টি কলেজকে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। তারই চিঠি গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে। ৪টি কলেজের মধ্যে প্রথম নামটিই ছিল লাখাই মুক্তিযোদ্ধা কলেজের। এক সময় লাখাই উপজেলাকে বলা হতো সবচেয়ে অবহেলিত এলাকা। কিন্তু হবিগঞ্জ-৩ আসনে এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর পুরো উপজেলার চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। তিনি প্রথম যখন এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তখন ঘোষণা করেছিলেন লাখাইয়ের সর্বাত্মক উন্নয়ন বাস্তবায়ন করবেন। ইতোমধ্যে তার সকল প্রতিশ্রুতি পুরণ হয়েছে। বিশেষ করে তার প্রচেষ্টায় বলভদ্র সেতু চালুর পর ওই সড়কটির উন্নয়নের জন্য ১ শত ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের শেষ পর্যায়ে। রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সর্বশেষ গত মাসে তিনি লাখাই উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেন। এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় গতকাল সন্ধ্যায় লাখাই মুক্তিযোদ্ধা সরকারিকরণের খবর এসে পৌছায় হবিগঞ্জে। হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেন, লাখাই উপজেলার মানুষ আমাকে তাদের নিজেদের সন্তান মনে করে বলেই বারবার বিপুল ভোটে আমাকে বিজয়ী করে। আমিও লাখাইকে আমার নিজের এলাকা মনে করি। আমি জনগনের ভালবাসর প্রতিদান দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। লাখাইয়ের উন্নয়নে আমার কাছে কোনো দাবি নিয়ে আসতে হয় না। আমি নিজে থেকেই কোথায় কি উন্নয়ন করতে হবে তা অনুধাবন করি। উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কলেজ জাতীয় করন নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবিগঞ্জকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ মনে করেন বলেই তিনি আমার আবদার ফেলে দিতে পারেননি। কলেজটি জাতীয়করণ হওয়ায় লাখাই উপজেলার শিক্ষার উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, শুধু মুক্তিযোদ্ধা কলেজ জাতীয় করণ করেই আমার কাজ শেষ হয়ে যায়নি। উপজেলার  সকল ইউনিয়নে একটি করে কলেজ প্রতিষ্ঠা করব। ইতোমধ্যে মনতৈলে কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। আগামীতে যদি আবারও নিজের সন্তান হিসেবে জনগন আমাকে বিজয়ী করে তাহলে লাখাই উপজেলার কোন দাবীই আর অপূর্ণ থাকবে না। লাখাই মুক্তিযোদ্ধা কলেজ জাতীয় করনে খবরে আনন্দ প্রকাশ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ। তিনি এমপি আবু জাহিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি আবু জাহিরকে স্নেহ করেন বলেই তিনি যখন যে দাবী নিয়ে যান তা পূরণ করেন। হবিগঞ্জে মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে তারই প্রচেষ্টায়। এই মেডিক্যাল কলেজের সুফলও সদর উপজেলার পর সবছেয়ে বেশী পাবে লাখাই উপজেলা। কারণ এর স্থায়ী ক্যাম্পাস হবে লাখাই সড়কের পাশে। লাখাই মুক্তিযোদ্ধা কলেজের অধ্যক্ষ দ্বীন ইসলাম জানান, কলেজ জাতীয় করণে আজ আমরা আনন্দিত। আমরা কৃতজ্ঞা জানাই এমপি আবু জাহিরের প্রতি। কারণ তার প্রচেষ্টা না থাকলে এই কলেজ সরকারী হত না। সর্বোপরি লাখাইর সর্ব স্থরের জনগনের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি আরও বলেন. আজকের এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। কারণ একজন শিক্ষক হিসাবে এর ছেয়ে বড় কোন আনন্দের বিষয় হতে পারে না জীবনে। কলেজের সহকারী অধ্যাপক জাবেদ আলী জানান, জাতীয় করনের খবর পেয়ে সকল শিক্ষকের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। যার প্রচেষ্টায় কলেজ সরকারী হয়েছে সেই স্বপ্ন পূরুষ এমপি আবু জাহিরকে সকল শিক্ষক মিলে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবেন। গতকালই অনেক শিক্ষক এমপি আবু জাহিরের সাথে দেখা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী তাহমিনা আক্তার তার অনূভূতি ব্যক্ত করে বলে, সরকারী কলেজে পড়ার অনেক স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু জেলা শহরে এসে পড়ার সামর্থ না থাকায় সেই স্বপ্ন পূরণ হবে না বলেই এলাকার কলেজে ভর্তি হয়েছিল। এখন সরকারী কলেজ থেকেই শিক্ষা জীবন শেষ করতে পারবে সে আনন্দিত। তার সহপাঠী রিমা আক্তারও তার বান্ধবির কাছ থেকে খবর পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে। তারাও এমপি আবু জাহিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম জানায়, তারা খবর পেয়ে সকল বন্ধুদের মাঝে সুখবরটি শেয়ার করেছে। ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সুখবরটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে ৩ একর ভূমি নিয়ে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর শিক্ষার্থী সংখ্যা দেড় হাজারেরও অধিক।


     এই বিভাগের আরো খবর