স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ফয়জাবাদ বধ্যভূমিতে অনুষ্ঠিত সভায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মধ্যে স্যানেটারী লেট্রিন ও সুপেয় পানির জন্য নলকূপ বিতরণ করেছেন এমপি কেয়া চৌধুরী। এ উপলক্ষে ২ মার্চ ফয়জাবাদ বধ্যভূমিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রোটারী ক্লাব অব উত্তরা ঢাকা ও রোটারী ক্লাব অব সিলেট কসমোপলিটান এর আয়োজনে সহযোগীতা করেছে বাহুবল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। ৭টি নলকূপ ও ১১টি স্বাস্থ্যসম্মত লেট্রিন স্থাপনের অনুমতিপত্র মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এমপি কেয়া চৌধুরী। বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীন দেশে কোন রাজাকারের স্থান হতে পারে না। এ সরকার একে একে রাজাকারদের বিচার করছে। তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করছে। এ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পাশে রয়েছি। ইতোমধ্যে জননেত্রীর কাছ থেকে বরাদ্দ এনে বাহুবলের কালিগজিয়া, পশ্চিম রূপশংকর, পূর্বজয়পুর, নবীগঞ্জের টেকইয়া এলাকায় শহীদ আজিম উল্লাহর ও ইজ্জত উল্লাহসহ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে স্মৃতিস্তম্ভ, চুনারুঘাট গোছাপাড়া গ্রামে বধ্যভূমি ও বানিয়াচংয়ের হলদারপুরে শহীদদের কবর পাকা করেছি। সভায় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, এমপি কেয়া চৌধুরী আমাদের সন্তান। তার শরীরে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরীর রক্ত। তিনি মহিলা আসনের এমপি হয়েও ব্যাপক উন্নয়ন করে যাচ্ছে। আমরা তাকে নির্বাচিত এমপি দেখতে চাই। তাই জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী, যেন কেয়া চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করেন। আমরা সবাই মিলে কেয়া চৌধুরী ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করবো। বক্তব্যে রোটারিয়ানরা বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি কতটুকু পরিশ্রমি হতে পারেন, নিজ চোখে দেখে আমরা অবিভূত হলাম। এমপি কেয়া চৌধুরী পুরোদিনব্যাপী মাঠের স্থানে স্থানে যাচ্ছেন। সবার কথা শুনে তৃণমূলের উন্নয়নে বরাদ্দ প্রদান করছেন। আমরা তার আহবানে সাড়া দিয়ে এখানে এসেছি। এভাবে বার বার আসতে চাই। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতা শামীমুর রহমান শামীম ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদের যৌথ পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, বাহুবল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আবু হোসেন, নবীগঞ্জ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূর উদ্দিন, ওসি মোঃ মাসুক আলী, জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক অনুপ কুমার দেব মনা, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী টেনু, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, রোটারী ক্লাব অব উত্তরা ঢাকার প্রেসিডেন্ট সুরাইয়া তালুকদার, রোটারিয়ান সাখাওয়াত হোসেন খাঁন, রোটারিয়ান ড মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম খাঁন, রোটারিয়ান মোহাম্মদ আলী, রোটারিয়ান ক্যাপ্টেন মাহবুব আলী, রোটারিয়ান ফেরদৌস, রোটারিয়ান শিউলী সুলতানা, রোটারিয়ান লিপি, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি নূরুল ইসলাম নূর, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আপ্তাব উদ্দিন, প্রভাষক ফয়ছল আহমেদ, রোটারী ক্লাব অব সিলেট কসমোপলিটান এর প্রেসিডেন্ট মঞ্জুর খাঁন, ফাস্ট প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ার ইফতিয়াক হোসেন মঞ্জু, এ্যাসিষ্ট্রেন্ট গভর্নর রোটারিয়ান সেলিম খাঁন, ফাস্ট প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান সাহেদ হোসাইন, রোটারিয়ান মামুনুর রশিদ, রোটারিয়ান আয়াছ উদ্দিন, রোটারিয়ান ফাতেহা খানম, রোটারিয়ান কামরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদ মিয়া তালুকদার, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অলিউর রহমান অলি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক ফজল, শ্রমিক নেতা সোহেল আহমেদ, পুটিজুরী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক পারুল আহমমেদ, যুবলীগ নেতা সাইফুর রহমান আজাদ, ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ মশিউর রহমান, হৃদয় আহমেদ, চা শ্রমিক নেতা পিয়ারী দাশ প্রমূখ।