,

নবীগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়!

শাহ্ সুলতান আহমদ ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের মুজিবুর রহমান কর্তৃক পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগের ঘটনা নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় চলছে। ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ করছে প্রভাবশালীরা। প্রভাবশালীদের দাফটে আতংকে রয়েছেন ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর পরিবার।  গতকাল বুধবার হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ধর্ষিতাকে পুলিশ হেফাজতে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানাগেছে। আজ তিন দিন যাবত ধর্ষিতা হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে রয়েছে। এ ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে পুলিশ বলছে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপর দিকে, নিজেকে নির্দোষ দাবী করছেন মুজিবুর রহমান। তার বিগতদিনের জীবনযাপন নিয়েও নানা আলোচনা সমালোচনা দেখা দিয়েছে এলাকার লোকদের মাঝে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের হতদরিদ্র আব্দুল ওয়াহিদ মিয়ার মাদ্রাসা পড়ুয়া ধর্ষিতা মেয়েকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে সে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ধর্ষিতার পিতা আব্দুল ওয়াহিদ মিয়া এ প্রতিনিধিকে জানান, তার কন্যা (১৬) স্থানীয় দিনারপুর উত্তর লামরোহ এবতেদায়ী মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। ওই দিন স্থানীয় একটি মাঠে গরু চড়াতে গেলে একই গ্রামের মুজিবুর রহমান তাকে একা পেয়ে ঝাপটে ধরে ধর্ষন করেছে। এসময় তার শোর-চিৎকার শুনে বাচাঁতে তার ফুফু তকমিনা আক্তার এগিয়ে আসলে তিনিও ধর্ষকের হাতে আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিবেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম আতাউর রহমানের সাথে বুধবার রাত ১০টায় যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিবেন। অপর দিকে, মুজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাদের সাথে মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। এরই জের নিয়ে তারা তার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। তবে ধর্ষনের কোন ঘটনা ঘটেনি।


     এই বিভাগের আরো খবর