,

বানিয়াচংয়ে মরছে নদী, হচ্ছে না খনন

ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ॥ বানিয়াচং উপজেলার খরস্রোতা নদী কুশিয়ারা শুকিয়ে গেছে। চলতি বোরো মৌসুমে সেচের জন্য নদীতে পানি নেই। এতে প্রায় ৩৫
হাজার হেক্টর আবাদি জমি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, উজানের পলি-বালি জমা ও খননের অভাবে মরে যাচ্ছ বানিয়াচংয়ের নদীগুলো। এতে সেচ, গোসলসহ গৃহস্থালি কাজের জন্য পানির চরম সংকটে পড়েছেন হাওর নদীপাড়ে বসবাসকারী মানুষ। খননের অভাব ও উজান থেকে নেমে আসা পলি-বালি জমে মরে যাচ্ছে। চৈত্র মাস আসার আগেই শুকিয়ে যায় অধিকাংশ নদীর তলদেশ। কাগাপাশা ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা নদীর অস্তিত্ব সংকট বিরাজ করছে। ফলে কৃষিজমিতে পানি সেচ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক। হাওর এলাকার কৃষি ব্যাংক কিংবা মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বোরো আবাদ করেন। এখন সেচের পানির অভাবে সম্ভাব্য ফসলহানির আশঙ্কায় পরিবারের ভরণ-পোষণ ও ঋণ পরিশোধ নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাদের। তারা জানান, কিছুদিনের মধ্যেই ধানের শীষ বের হবে। এ সময় সেচের পানির খুব প্রয়োজন হলেও নদী শুকিয়ে যাওয়ায় তা মিলছে না। পাম্প মালিক জামাল উদ্দিন বলেন, নদীতে না থাকায় মাটির নিচেও পানি নেই। কাগাপাশা ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামের আজিজুর রহমান তালুকদার বলেন, কুশিয়ারাসহ উপজেলার বিভিন্ন নদী খননের অভাবে শুকিয়ে মাঠ হয়ে গেছে। বানিয়াচং উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বশীর আহমেদ জানান, কৃষকের মতো তিনিও হতাশ। কারণ সমস্যা সমাধানে তিনি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তেমন উল্লেখযোগ্য সাড়া পাননি। তিনি বলেন, তবে কুশিয়ারা নদীর বানিয়াচং-নবীগঞ্জ এম.এ রব সড়কের কাগাপাশা বাজার সংলগ্ন ব্রিজ থেকে বানিয়াচং-মার্কুলী সড়কের শুটকি ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার নদী পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জাইকার অধীনে খনন ও বেড়িবাঁধের আওতায় আনা হয়েছে। এভাবে অতি দ্রুত হাওর এলাকার মরে যাওয়া নদনদী ও খালবিলসহ পানির অন্যান্য উৎস জরুরি ভিত্তিতে খননের উদ্যোগ নিলে উপকৃত হবেন কৃষক, মৎস্যজীবীসহ ব্যবসায়ীরা। তিনি আশা করেন সরকার অচিরেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।


     এই বিভাগের আরো খবর