আনোয়ার হোসেন মিঠু ॥ প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক আমাদের সকলের প্রিয় হুমায়ূন আহমেদের কালজয়ী নাটকগুলোর মধ্যে “কোথাও কেউ নেই” নাটকটি ছিলো বেশ আলোচিত। আর এর মূল কারণ ছিলো নাটকটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে
অভিনয় করে সারা বাংলাদেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মন জয় করা আমাদের সকলের প্রিয় বাকের ভাই অর্থাৎ আজকের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব অসাদুজ্জামান নূরের অসাধারণ অভিনয়। ১৯৯০ইং সালে নাটকটি বিটিভিতে প্রচারিত হয়। দীর্ঘ ২৮ বছর পার হয়ে গেলেও সারা দেশের ন্যায় নবীগঞ্জ বাসীও কালজয়ী ওই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা বাকের ভাইকে ভুলতে পারেনি। আর সেই বাকের ভাইকে সরাসরি এক নজর দেখার জন্য নবীগঞ্জবাসী অধীর আগ্রহে প্রহর গুনছেন। কখন আসবেন তিনি, আর তাকে সরাসরি এক নজর দেখে প্রাণ জুড়াবেন তার অসংখ্য ভক্ত।
আজ ১১ মার্চ রবিবার সকাল ১১ টায় নবীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন আনন্দ নিকেতনের ১৮তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক উৎসবে তিনি যোগ দিতে নবীগঞ্জ আসবেন। আর তাকে এক নজর দেখে প্রাণ জুড়াবেন নবীগঞ্জের অগনিত ভক্তকূল। সকাল ১১ টায় আনন্দ নিকেতন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন এবং বেলা ২টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে আলোচনা অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কমেডি ড্রামা “কোথাও কেউ নেই” নাটকে আসাদুজ্জামান নূর ছাড়াও সুবর্না মোস্তফা, আব্দুল কাদের, মাহফুজ আহমেদ, আফসানা মিমি, হুমায়ুন ফরিদীসহ অনেক গুনী শিল্পি তাদের অনবদ্য অভিনয় করে নাটকটিকে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। তবে সকলকে ছাড়িয়ে বাকের ভাই’র অসাধারণ অভিনয়ের কারণে নাটকটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। নাটকে বাকের ভাইয়ের সহযোগী বদি ও মজনুর কথাও অনেকেই ভুলতে পারেননি আজো। নাটকের “বাকের ভাই” চরিত্রের জন্য রাজপথে মিছিল করার মতো ঘটনা একাধিকবার দেখা গেছে। ‘বাকের ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ শ্লোগানের মিছিলটি কোনো রাজনৈতিক দলের ছিল না। হুমায়ূন আহমেদের ধারাবাহিক নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’র প্রধান চরিত্র বাকের ভাইকে ফাঁসি না দেয়ার দাবি জানিয়ে হয়েছিলো ওই স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল। বাকের ভাই চরিত্রে আসাদুজ্জামান নূর এখনো মানুষের মুখে মুখে বিচরণ করছেন। এখনো তিনি কোনো অনুষ্ঠানে গেলে তাকে বাকের ভাই বলেই ডাকে অনেকে। কোনো নাটকের চরিত্র যে কতটা জনপ্রিয় হতে পারে সেটা হুমায়ূন আহমেদ দেখিয়ে গেছেন আমাদের। নাটকে ব্যবহৃত “হাওয়ামে উড়তা যায়ে মেরা লাল দো পাট্টা মলমল” গানটি আজো ভক্তদের হৃদয়ে নাড়া দেয়। নবীগঞ্জবাসী তাদের প্রিয় আসাদুজ্জামান নুরের কাছ থেকে মূল্যবান কথা শুনবেন। মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে তার বক্তব্য নবীগঞ্জবাসীকে প্রেরণা যোগাবে। বর্তমান সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের নবীগঞ্জ আগমন আজীবন স্মৃতি হয়ে থাকবে সকলের কাছে।