,

বানিয়াচংয়ে কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গন আতংকে বাজার ব্যবসায়ী

মোঃ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ॥ নদীর এপার ভাঙ্গে ওপার গড়ে, এইতো নদীর খেলা। নদীর ভাঙা গড়ার খেলা আর ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের দুঃখ দেখে মরমী শিল্পীরা এই গানটি গেয়েছিলেন। বিয়ানী বাজার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা ও কুশিয়ারার ভাঙনের খবর হয়তো তখন তাদের কাছে মিলছিল না। কিন্তু তৎকালীন সময়ে স্বপ্নের এই গানের কথামালা যে বাস্তবে রূপ নেবে তা ক’জনই বা ভেবে ছিলেন। এখানকার সুরমা, কুশিয়ারা ও সুনাই নদীর ভাঙনে নদী তীরবর্তী প্রায় ৭৫টি গ্রামের বিস্তীর্ণ জনদ ও ফসলের জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার সিমান্ত এলাকা ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নে প্রাচীন আমল থেকে প্রতিষ্ঠিত কুশিয়ারা নদীর তীরে অবস্থিত  মার্কুলী বাজার ব্রিটিশ আমল থেকে চালু হওয়া মার্কুলী বর্তমান কাদিরগঞ্জ বাজারের মুল অংশটি নদীতে ভয়াবহ ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অথচ নদীর ভাঙ্গন রোধে বর্তমান সরকার কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। বর্তমানে অবশিষ্ট বাজারটি যদি বর্ষ মৌসুম আসার আগে কোন উদ্যোগ না নেয়া হয় তাহলে বর্তমান বাজারটিও  বিলীন হয়ে যাবে আতংকে দিন যাপন করছেন মার্কুলী বাজার ব্যবসায়ীরা ও ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে অসংখ্য ভিট মালিকরা। স্থানীয়রা জানান, ভারতের আসাম রাজ্যের বরাক উপত্যকা থেকে নেমে আসা বরাক নদী জকিগঞ্জ সীমান্তের অমলসীদ এলাকায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদী নাম ধারণ করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। অতীতে বরাক থেকে নেমে আসা জলরাশি সমভাবে সুরমা, কুশিয়ারা দিয়ে প্রবাহিত হত। সুরমার উৎস মুখ ভরাট হয়ে যাওয়ার ও নাব্যতা কমে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে বাকের ৮০ ভাগ জলই কুশিয়ারার নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে বরাক থেকে নেমে আসা প্রবল স্রোতের তোড়ে কুশিয়ারার ভাঙন তীব্রতর হয়। প্রতি বর্ষা মৌসুমে কুশিয়ারা নদীর পাড়ে গ্রামের বিস্তৃীর্ণ অঞ্চল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, ২০০০ সালে প্রয়াত আওয়ামীলীগের বর্ষিয়ান নেতা তৎকালীন বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জের সংসদ সদস্য বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের আমলে  ভাঙ্গন রোধে পাথর, বোল্টার দেয়া হয়েছিলো কিন্তু ওই স্থানে দীর্ঘদিন যাবত পানির স্রোতে নীচ থেকে মাটি সরে গিয়ে জায়গাটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। সম্প্রতি ভাঙ্গনরোধ এলাকা ধ্বসে গেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর