,

নবীগঞ্জের তাজপুর গ্রামে একটি পরিবারের মান সম্মান ক্ষুন্ন ও ভূমিচ্যুত করার অভিযোগের প্রতিবাদের ব্যাখ্যা

নবীগঞ্জের তাজপুর গ্রামে একটি পরিবারের মান সম্মান ক্ষুন্ন ভূমিচ্যুত করার যে প্রবিবেদনটি ছাপা হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তরা নিজের দোষ আড়াল করতে প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবাদ দেয়। আমি উক্ত প্রতিবাদের বিপক্ষে তথ্যবহুল প্রকৃত সত্য তুলে ধরছি- দলিলাদি ও রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, তাজপুর মৌজার ২৩৬ (এস এ) খতিয়ানের ১৫১ (এস এ) দাগের ২.৪২ একর ভূমি ব্যতিত সম্পূর্ণ জায়গা পাকিস্তান আমলে খরিদা সূত্রে  নিবারন দাশ গং মালিক এবং সর্বশেষ জরিপে রেকর্ডভুক্ত হয়। বাকী ২.৪২ একর  ভুমি সর্বশেষ জরিপে সুকুমার দাশ ও সুদর্শন দাশ এর নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। পরবর্তীতে নিবারন দাশ এই ২.৪২ একর ভূমি সুকুমার দাশ ও সুদর্শন দাশ এর কাছ থেকে ৩৬৯০ নং রেজিস্ট্রি কেবলায় ২৪/০৬/২০০৬ ইং তারিখে খরিদা সূত্রে মালিক হন। ইদানিং কালে দেখা যায়, সুজিত দাশসহ কতিপয় লোক ২৬৩০ নং দলিলে ২৫/০৫/১৯৬৯ইং তারিখে তাজপুর মৌজার ৪৭ (এসএ) খতিয়ানের ৪৫, ১৪৯ ও ১৫৯ (এসএ) দাগের ১.৭০ একর ভূমি সুকুমার দাশ ও সুদর্শন দাশ থেকে খরিদ করে। পরবর্তীতে তারা ৪৭ (এসএ) খতিয়ানের ১৫৯ (এসএ) দাগের ভূমির পরিবর্তে ২৩৬ (এসএ) খতিয়ানের ১৫১ (এসএ) দাগের ভূমি ৫টি দলিলমূলে যথাক্রমে ২৮৭, ২৮৮, ২৮৯, ২৯০ ও ৩৪৪, ০৫/০৫/২০১০ইং তারিখে দেবোত্তর করে দেয় যাহা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অনৈতিক। সুজিত দাশ গং ১৫১ দাগের ভূমির মালিক না হয়েও নিবারন দাশের মালিকানাধীন ও দখলে থাকা ভূমি জালিয়াতি করে দেবোত্তর করে দেয়। উপরোন্ত তারা নিবারন দাশের পরিবারকে ভূমিচ্যুত করার অপপ্রয়াস দেখাচ্ছে এবং নানা রকম হুমকি দিচ্ছে। এলাকাবাসী এর সুষ্ঠু প্রতিকার চায়।
নিখিলেশ দাশ


     এই বিভাগের আরো খবর