,

বানিয়াচংয়ে কালোবাজারে বিক্রিকালে ১০ টাকা কেজির চাল জব্দ

আনোয়ার হোসেন ॥ বানিয়াচংয়ে কালোবাজারে বিক্রিকালে সরকারী ১০ কেজির ওএমএস’র ১৮ বস্তা চাল জব্দ করেছে  ডিলার হাফিজ মিয়াকে বরখাস্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। পরে আজ মঙ্গলবারের মধ্যে পুরাতন ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল করে নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়ার আশ^াস দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাঃ আসাদুজ্জামান। প্রশাসনের উপস্থিতির খবর পেয়ে ডিলার যুবলীগ নেতা হাফিজ মিয়া ও মুদি দোকানি শফিক মিয়ার পলায়নের খবর পাওয়া যায়। জানা যায়, বানিয়াচং ৫/৬নং বাজারের ওএমএস ডিলার ও ২নং ইউনিয়ন যুবলীগ এর সাবেক সভাপতি হাফিজ মিয়া গত শনি, রবি ও গতকাল সোমবার গরীব অসহায় মানুষের মাঝে ১০ টাকা কেজি করে সরকারী চাল বিতরণ করেন। এ সময় তিনি প্রত্যেককে ৩০ কেজি করে দেওয়ার কথা থাকলে বিতরণ করেন ২৮ কেজি করে চাল। রবিবার রাতে ৫/৬নং বাজারের মুুদি ব্যবসায়ী কালিকাপাড়া গ্রামের হাজী রফিক মিয়ার পুত্র শফিক মিয়ার নিকট ১৮ বস্তা চাল ২০ টাকা কেজি মুল্যে বিক্রি করে দেন। গতকাল সোমবার ওই চাল ভোক্তাদের মাঝে বিক্রি করা শুরু করলে বিষয়টি বিকাল ৫ ঘটিকায় বাজার সভাপতি মকবুল হোসেনসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারিশ উদ্দিন খানকে জানান। সন্ধায় চেয়ারম্যান বাজারে উপস্থিত হলে ডিলার হাফিজের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। খবর পেয়ে সন্ধার পর ঘটনাস্থলে যান ইউএনও মুহাঃ আসাদুজ্জামান ও খাদ্য কর্মকর্তা খালেদ হোসাইন। উত্তেজিত জনতার উদ্দেশ্যে ইউএনও বলেন গরীবের হক কাউকে আত্মসাৎ করতে দেওয়া হবেনা। আমি এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহুদয়ের সাথে কথা বলেছি। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে ডিলার হাফিজকে বরখাস্ত করে নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে। ইউএনও’র আশ^াসে উত্তেজিত জনতা শান্ত হন। এদিকে সুচতুর শফিক মিয়া একদিনেই ৬ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি করেন। অবশিষ্ট সাড়ে ১১ বস্তা চাউল ও খালি ৬ বস্তা ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারিশ উদ্দিন খানের জিম্মায় দেন ইউএনও।


     এই বিভাগের আরো খবর