,

হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৬০ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর-লাখাই আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সূর্য সন্তান। তাদেরকে সম্মানিত করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান মুরাদের সভাপতিত্বে ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাঠানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফজলুল জাহিদ পাভেল। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ সফিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কুদ্দুছ আলী সরকার, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, সহকারী কমিশনার বেলায়েত হোসেন প্রমুখ। প্রধান অতিথি তিনি আরো বলেন, তরুণদেরকে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে বিজয় অর্জনে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্মগাথা সম্পর্কে জানতে হবে। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৬০ মুক্তিযোদ্ধাকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ৩০ লাখ শহীদের তাজা রক্ত ও ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে অর্জন করা স্বাধীনতা রক্ষা করতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, যারা দেশকে ধবংশ করার উদ্দেশ্যে জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, দেশরতœ শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে, বাংলাদেশের সফল অর্থমন্ত্রী হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান শাহ এএমএস কিবিরয়াকে হত্যা করেছে মুক্তিযোদ্ধারা কখনো তাদের সাথে থাকতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী। যে কারণে বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সকল সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় তিনি হবিগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা অফিস ভবন নির্মাণ নিয়ে জটিলতা নিরসনে শীঘ্রই উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ২৬০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে উপহার হিসাবে শাড়ি, লুঙ্গি ও প্লেট প্রদান করা হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।


     এই বিভাগের আরো খবর