,

বানিয়াচংয়ে শৌচাগারের কারণে দূর্ভোগে এলাকাবাসী

বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচং উপজেলা সদরে শৌচাগার দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে এলাকাবাসীর। শৌচাগারের কারণে দূর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। শৌচাগারের ময়লা আর্বজনা নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে পাশের একটি নালাদিয়ে। এ নালা দিয়ে শৌচাগারের ময়লা আর্বজনা প্রবাহিত হয়। ফলে দুর্গন্ধে আশ-পাশের বাসিন্দাদের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  ওই উপজেলার ২নং উত্তর পশ্চিম  ইউনিয়নের ৫/৬ নং বাজার ব্যবসায়ীদের জন্য শৌচাগারটি নির্মাণ করা হয়। এতে প্রতিদিন শত শত ব্যবসায়ীগণ তাদের জরুরি কার্য সম্পাদন করে আসছেন। এর পাশে রয়েছে ৫নং গরীব হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিএসডি মহিলা মাদ্রাসা, বানিয়াচং ৪নং ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এগুলোর পাশে বাজার ব্যবসায়ীদের জন্য নির্মিত শৌচাগারটি। যার ময়লা আর্বজনা পাশের সুনারু খাল এর নালা দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে ময়লার দুর্গন্ধে বাজারের পাশের সড়ক দিয়ে চলা চলরত গরীব হোসেন মহল্লা, শেখের মহল্লা, কুতুব খানি, মহুরের পাড়া, আদমখানি, সেনপাড়া, চাঁনপাড়াসহ ১০/১২টি মহল্লার লোকজনসহ স্কুল-মাদ”াসায় আসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দে” আসা লোকজনকে নাকে রোমাল চেপে চলাচল করতে হচ্ছে। ময়লার দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মিলেনি। এ ব্যাপারে গরীব হোসেন মহল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন জানান, দুর্গন্ধের কারণে প্রায় সময়ই বিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ের আগে ছুটি দিয়ে দিতে হচ্ছে। অনেকেই দুর্গন্ধের কারণে বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে এবং আসতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়েছেন। অচিরেই সরেজমিনে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর