,

চুনারুঘাটে তিন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের পীরেরগাঁও সৈয়দ হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিকিক্ষা ও সহকারী শিক্ষিকা মিনারা আক্তার, সুফিয়া আক্তার এর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিকিক্ষা ও সহকারী শিকিক্ষাদের বিরুদ্ধে পীরেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা তাছলিমা আক্তার (মিতা)
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এর কোন প্রতিকার করতে পারেননি। সূত্রে জানা যায়, তাছলিমা আক্তার (মিতা) এর পুত্র শেখ মোঃ আবু জাহির জয়কে স্কুলে যেতে নিষেধ প্রদান করে শিক্ষকগণ বলেন যতক্ষণ পর্যন্ত তাছলিমা আক্তার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট থেকে অভিযোগ তুলে না নিবে ততদিন পর্যন্ত তার ছেলে জয় স্কুলে লেখাপড়া করতে পারবে না বলে শিকিক্ষাগণ জানিয়েছেন বলে এ প্রতিনিধির কাছে তছলিমা আক্তার বলেন। সরেজমিনে স্কুল পরিদর্শনে উন্নয়ন বরাদ্দ স্লিপের কাজের টাকা দিয়ে কাজ না করেই প্রধান শিক্ষক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। স্থানীয় আরো জানান, পীরেরগাঁও গ্রামের কটন মিয়ার কন্যা ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী তানিয়া আক্তারকে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ পিটিয়ে তার মাথায় বারি দিয়ে আহত করলে তানিয়ার পিতা কটন মিয়া প্রতিবাদ করলে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেন শিক্ষিকারা। এ ঘটনায় কোন সুরাহা না হওয়ায় স্কুলছাত্রী তানিয়া আক্তার এখন পর্যন্ত স্কুলে যাওয়া বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষিকাদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন- বর্তমান সরকার আমাদের বেতন-ভাতা বাড়িয়েছে। স্কুলে আসা-যাওয়া আমাদের ব্যক্তিগতভাবেই চলবে। আমাদের অনিয়ম, দূর্নীতি হয় কি না হয় তা আমাদের শিক্ষা কর্মকর্তা দেখবেন। যার কারণে সরকারি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে শিক্ষকরা ব্যক্তিগত ভাবে স্কুলে আসা-যাওয়া করছেন। অভিযোগের বিবরণে জানা যায় যে, উক্ত তিন শিক্ষিকা পীরেরগাঁও সৈয়দ হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসেন না, সঠিকভাবে ক্লাস নেন না। তারা গায়ের জোরে ভর্তিকৃত ছাত্র জয়ের নাম কেটে দিয়েছেন। অপর দিকে উক্ত শিক্ষকগণ এলাকার অভিভাবকদের সাথে ক্ষমতার অপব্যবহার সহ অশালিন আচরণ করে আসছেন। এছাড়া ছাত্র/ছাত্রীদেরকে বেধড়কভাবে মারপিট করে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেন। এ বিষয়ে জয়ের অভিভাবক তাছলিমা আক্তার মিতা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও চুনারুঘাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন।


     এই বিভাগের আরো খবর