,

দিনারপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় ১০ দিনেও গ্রেফতার হয়নি আসামী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চল দিনারপুরে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় মামলা দায়েরের ১০ দিন অতিবাহিত হলেও একমাত্র আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে সুষ্ঠ বিচার নিয়ে হতাশায় মামলার বাদী ও তার পরিবার। এ ছাড়া মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মামলার বাদী। মামলার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদ মিয়ার কন্যা স্থানীয় মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার সময় প্রায়ই উক্ত্যক্ত করতো একই গ্রামের মুজিবুর রহমান। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার পিতা মাতাকে জানানোর পর তারা বিচার প্রার্থী হলেও কোন কর্ণপাত না করে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মুজিবুর রহমান। গত ৬ মার্চ তাদের বাড়ির পাশের একটি পুকুরে এলাকার লোকজন মৎস্য আহরণ করছেন এমন খবরে গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ওই পুকুরে মাছ ধরতে যায়। তাদের সাথে মাছ ধরতে যায় মামলার বাদী মাদ্রাসা ছাত্রীও। পুুকুর পাড়ে যাওয়ার সময় মামলার আসামী মুজিবুর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে প্রলোভন দিয়ে তার বসত ঘরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে ওই ছাত্রী রাজি না হওয়ায় মুজিবুর উত্তেজিত ও আক্রোশ্বান্বিত হয়ে উঠে। পরে সে বাড়ি ফেরার সময় নির্জন স্থানে পৌছা মাত্রই মুজিবুর রহমান তাকে একা পেয়ে ঝাপটে ধরে তাকে জোর পূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ সময় ছাত্রীর চিৎকারে তার ফুফু তকমিনা বেগম এগিয়ে আসলে মুজিবুর রহমানের হামলায় আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আশংকাজনক অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ডাক্তারী চিকিৎসা কাজে ব্যস্তও মানসিক ভাবে বিপর্যস্থ থাকায় অবশেষে গত ১৩ মার্চ হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক দরখাস্তটি এজাহার (এফ.আই.আর) গণ্যে বিধি মোতাবেক আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের নিমিত্তে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৫ মার্চ নবীগঞ্জ থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এদিকে, মামলা দায়েরের ১০ দিন অতিবাহিত হলেও একমাত্র আসামী মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে সুষ্ঠ বিচার নিয়ে হতাশায় রয়েছেন মামলার বাদী ও তার পরিবার। এমনকি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। মামলার বাদীর পিতা ওয়াহিদ মিয়া এ প্রতিনিধিকে জানান, ‘মামলার ১০ দিনেও পুলিশ আসামীকে ধরছেনা উল্টো থানার এস.আই ফিরোজ আহমেদ তাকে বলেছেন, আদালতে তার মেয়েকে নিয়ে গিয়ে বলতে যে ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি শুধু টানা হেছড়া করেছে।” এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নবীগঞ্জ থানার এস.আই ফিরোজ আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তাধিন রয়েছে, তিনি মামলাটি তদন্ত করছেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, আসামী গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর